প্রতিনিধি ২৩ জুন ২০২৫ , ১২:১৪:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
নজরুল ইসলাম: মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ইউনুস স্যারের কারিশম্যাটিক হাতের ছোঁয়ায় “এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের “ঘোষনা চায় পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক পরিবার।
আমরা আর খন্ডিত দাবি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করবো না,কুটনৈতিক মিশনও চালাবো না।গত দীর্ঘ ৫৪ বছর খন্ডিত আম্দোলন কি শেষ হয় নাই?
খন্ডিত আন্দোলনের সময় শেষ,এখন একমাত্র এক দফা আন্দোলন হোক একদফা” শিক্ষা জাতীয়করণ” নিয়ে।বাড়ি ভার, চিকিৎসা ভাতা বাদ দিয়ে এক দফায় আসুন “শিক্ষা জাতীয়করণ “। শিক্ষা জাতীয়করণ ছাড়া শিক্ষকদের বৈষম্য দূর হবে না।
মাননীয় অর্থ উপদেষ্টা মহোদয় আসন্ন বাজেটে শিক্ষা জাতীয়করণের জন্য যে অর্থ প্রয়োজন হবে তার সিংহ ভাগ অর্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই সংগ্রহ হয়ে যাবে,যার হিসাব সারা বাংলাদেশে যত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, তার সংখ্যা এবং আনুপাতিক হারে শিক্ষা জাতীয়করণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের হিসাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সেক্টরে প্রতিনিধিত্বশীল শিক্ষক সংগঠনের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া আছে।
আপনারা যাচাই -বাছাই ও পরীক্ষা -নিরীক্ষা করে দেখুন, আসন্ন শিক্ষা বাজেট থেকে উল্লেখযোগ্য অর্থ শিক্ষা জাতীয়করণের জন্য লাগবে না।দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোর শিক্ষা ব্যবস্হা পর্যবেক্ষণ করে দেখুন,বাংলাদেশের মত এত রূগ্ন শিক্ষা ব্যবস্হা কোথাও আছে কি-না?
আমরা পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক সমাজ মনে করি এবং বিশ্বাস করি বর্তমান সরকারের সদিচ্ছাই শিক্ষা জাতীয়করণের জন্য যথেষ্ট।
বিশ্ব নন্দিত মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সারা বিশ্বে অকল্পনীয় অনেক বড় বড় কাশিরমা দেখিয়েছেন এবং দেখিয়ে আসছেন। শিক্ষা জাতীয়করণ হলে শিক্ষায় থাকবে না কোন বৈষম্য। দেশে তৈরী হবে দক্ষ জনশক্তি, যাদের দ্বারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেন্জ মেকাবেলা করবে দেশের দক্ষ জনশক্তি।বিশ্ব দরবারে সমাদৃত হবে এ দেশ।
মোঃনজরুল ইসলাম,যুগ্মমহাসচিব, বাশিস কেন্দ্রীয় কমিটি।