প্রতিনিধি ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৪:৩৬:৪০
ইসলাম ডেস্ক: আওয়ামী লীগের ‘গুজব তৈরির কারখানা’ হিসেবে খ্যাত সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন (সিআরআই) দিল্লিতে নতুন অফিস খুলে কার্যক্রম শুরু করেছে।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচন: হাইকোর্টের নির্দেশনা কার্যকর নয় আপাতত
জানা গেছে, নয়াদিল্লির অভিজাত এলাকা লুটিয়েন্স বাংলো জোনে যেখানে শেখ হাসিনা এখন বসবাস করছেন তার কাছেই একটি দোতলা ভবনে এর কার্যক্রম চলছে।
দেশের সকল জেলা–উপজেলা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
ইমেইল ঠিকানা:
অভিযোগ উঠেছে- এই কার্যালয় থেকেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য নানামুখী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, হাসিনাকে দেশে ফেরাতে আওয়ামী কালচারাল ফ্যাসিস্টদের সংগঠিত করে কাজে লাগানোর প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে সিআরআই। এর দিল্লির নতুন কার্যালয় থেকেই কালচারাল ফ্যাসিস্টদের নানা কৌশলে কাজে লাগাতে বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হচ্ছে।
এর উদ্দেশ্য— সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে খেপিয়ে তোলা, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা। সারা দেশে বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাঙ্গনে বড় ধরনের সংঘাত-সহিংসতা সৃষ্টি করে দেশকে চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাওয়া। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে আওয়ামী লীগের সব শক্তিকে ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা। পরে ঢাকা অ্যাটাক বা যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি।
ভারত থেকে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটির প্রাধান তিনটি লক্ষ্য রয়েছে। প্রথমত, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করা। দ্বিতীয়ত, যে কোনো মূল্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুল করা এবং তৃতীয়ত বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির বিরুদ্ধে জনমত তৈরিসহ গণঅভ্যুত্থানের সব শক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা।
জানা গেছে, গত তিন মাস থেকে ফের সক্রিয় সিআরআই। এর আগে দীর্ঘদিন এর মূল দায়িত্বে ছিলেন হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ শেখ পরিবারের একাধিক সদস্য প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব এখন শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের হাতে।
আইনগতভাবে জয়ের পক্ষে এখন অফিশিয়ালি সিআরআইয়ের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয় বলে পুতুলকে প্রতিষ্ঠানটির নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুতুল নিয়মিত এই কার্যালয়ে অফিস করছেন।
অভিযোগ করা হয়, আওয়ামী লীগের গবেষণা, তথ্য কার্যক্রম পরিচালনা, নীতিনির্ধারণ, প্রচার-প্রচারণার কাজের কথা বলা হলেও আদতে সিআরআই সবসময় ‘গুজব তৈরির কারখানা’ হিসেবে কাজ করেছে। সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করাই ছিল প্রতিষ্ঠানটির কাজ।
আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালের শুরুতে সরকার গঠনের পর ২০১০ সালে সিআরআইয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ছিল প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা। কিন্তু তারা কার্যক্রম চালাত মূলত গোপন জায়গা থেকে।
সূত্র: যুগান্তর
সাবস্ক্রাইব না করলে নিউজ পড়তে পারবেন না 📢