জাতীয়

পরীক্ষায় পাস না করেই সার্টিফিকেট চাইলেন যারা

  প্রতিনিধি ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১২:৫৯:০৩                        

ইসলাম ডেস্ক: ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা সনদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। দাবি না মানলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে জমা দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।

আরো পড়ুন:

বিশাল বড় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর

১৮তম নিবন্ধনে অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের দাবির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সুযোগ নিয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস কথা বলেছে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের সঙ্গে। সোমবার বেলা ৩টার দিকে তিনি বলেন, ‘১৮তম নিবন্ধনে যারা ফেল করেছেন তাদের বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। নিবন্ধনের ফল প্রকাশের পর ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশও হয়ে গেছে। প্রার্থীরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। আদালতও তাদের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। ফলে এ বিষয়ে নতুন করে ভাবার সুযোগ নেই।’

📢 সাংবাদিক নিয়োগ

দেশের সকল জেলা–উপজেলা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

ইমেইল ঠিকানা:


এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বরাবর জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে তারা বলেন, ‘আমরা ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছি। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলে আমরা চরম বৈষম্য ও স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হয়েছি। প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফলে চরম অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে আমাদের মতো হাজার হাজার যোগ্য প্রার্থী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এই চরম হতাশা ও বঞ্চনার প্রতিবাদে আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন জানিয়েও কোনো ফল পাইনি। তাই আমরা নিরুপায় হয়ে অবস্থান ও আমরণ অনশনের মতো কঠিন কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছি।’

তারা জানান, ‘এনটিআরসিএ-এর বিধি অনুযায়ী, একজন প্রার্থী লিখিত এবং মৌখিক উভয় ক্ষেত্রেই ন্যূনতম ৪০% নম্বর পেলে উত্তীর্ণ বলে বিবেচিত হবেন। ২২ অক্টোবর, ২০১৫-এর গেজেটে এই নিয়ম সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও, আমাদের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।

একজন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীর একাডেমিক স্কোর ১২ নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ১১ বা ১২ থাকে, যা ৪০% এর বেশি। এমতাবস্থায়, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং নীতিমালার শর্ত পূরণকারী যোগ্য প্রার্থীরা যখন মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়েন, তখন এটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।

ই-সনদে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর উল্লেখ না থাকা ফলাফলের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিগত নিবন্ধন পরীক্ষাগুলোতে (১ম থেকে ১২তম) ভাইভা ছিলই না, এবং ১৩তম থেকে ১৭তম পরীক্ষায় ভাইভা নম্বর সনদে যুক্ত থাকলেও তা মেধাতালিকায় যুক্ত হত না। অথচ ১৮তম ই-সনদে ভাইভার নম্বরই যুক্ত করা হয়নি। এছাড়াও, একই বিষয়ের ভিন্ন ভিন্ন বোর্ডে ফলাফলের মধ্যে চরম বৈষম্য দেখা গেছে। কোনো কোনো বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৮ জন পাস করলেও অন্য বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ২৮ জনই ফেল করানো হয়েছে।

কোনো কোনো বোর্ডে প্রার্থীকে শুধু নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করেই পাস করানো হয়েছে, আবার কোনো বোর্ডে ১০- ১৫টি সঠিক উত্তর দেওয়ার পরও ৪০% নম্বর না দিয়ে ফেল করানো হয়েছে। এর মাধ্যমে মৌখিক পরীক্ষা মেধা যাচাইয়ের পরিবর্তে একটি লটারি বা ভাগ্যের খেলায় পরিণত হয়েছে।’

স্মারকলিপিতে প্রার্থীরা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- অবিলম্বে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মৌখিক ফলাফলের বৈষম্য নিরসন করে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল যোগ্য প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ঘোষণা করতে হবে; উত্তীর্ণ প্রার্থীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে সনদপত্র প্রদান করতে হবে এবং পরবর্তী বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে সকল উত্তীর্ণ প্রার্থীর আবেদনের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে । খবর টিডিসি

Google News

প্রতিদিন ইসলাম অনলাইনের খবর পেতে
Google News ক্লিক করুন।

আরও খবর

Sponsered content

🌟 Subscribe করুন 🌟

সাবস্ক্রাইব না করলে নিউজ পড়তে পারবেন না 📢