প্রতিনিধি ২৫ অক্টোবর ২০২৫ , ৯:০২:২১
ইসলাম ডেস্ক: এক সময় দেশের এমপিওভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা পেতেন ব্যাংক চেকের মাধ্যমে। এতে প্রতিমাসেই নানা ভোগান্তি পোহাতে হতো লাখ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর।
আরো পড়ুন:
শিক্ষকদের আন্দোলন সফল, প্রজ্ঞাপন হাতে নিয়ে ফিরলেন আজিজি স্যার
তাদের এই ভোগান্তি লাগবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে চালু হয় ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার)। ফলে মাস শেষে নিজ একাউন্টে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা চলে যায়। তবে এই কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারেননি সারাদেশের আলিয়া মাদ্রাসার প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী।
এসব শিক্ষক-কর্মচারী অভিযোগ করেছেন, গতানুগতিক পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা পেতে তাদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কারণ হিসেবে তারা বলছে, এমপিও শিটে ম্যানেজিং কমিটি বা এডহক কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর নেওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অফিসে বেতন বিল জমা দিতে হয়। পাশাপাশি ব্যাংকে সভাপতির স্বাক্ষরসহ বেতন শিট জমা দিতে হয়। কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি এডহক বা ম্যানেজিং কমিটি না থাকে তবে ইউএনওর স্বাক্ষর নেওয়ার পর ব্যাংকে চেক জমা দিতে হয়। নানা দাপ্তরিক কাজ শেষে নিজ একাউন্টে বেতন জমা হতে হতে প্রতি মাসের ১০ তারিখ হয়ে যায়। আর বোনাস থাকলে তা জমা হতে আরও সময় লেগে যায়।
তারা আরও জানান, মাদ্রাসা অধিদপ্তর মাউশির (মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর) মাধ্যমে ইএফটিতে (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) যুক্ত করার আশ্বাস দিয়ে আসলেও প্রকৃত পক্ষে তার কার্যক্রমই শুরু করতে পারেনি তারা। কবে নাগাদ এ কার্যক্রম শুরু হবে এবং ইএফটিতে যুক্ত করবে তা জানেন না তারা।
জানা গেছে, বেসরকারি এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সহজে পেতে ইএফটি পদ্ধতি চালু করে মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। আর জুলাই থেকে এ সুবিধার আওতায় এসেছেন কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোও। তবে শুধু ব্যতিক্রম দেশের প্রায় ৯ হাজার মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।
এদিকে মাদ্রাসার শিক্ষকদের ইএফটিতে (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) যুক্ত করতে শিক্ষকদের কাছ থেকে এখনো কোনো তথ্য চাওয়া হয়নি বলে জানান শিক্ষকরা। তারা একাধিকবার মাদ্রাসা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করলেও কোনো সাড়া মিলছে না বলে অভিযোগ তাদের।
এ বিষয়ে বগুড়ার সৈয়দ আহমদ মডেল ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক (আইসিটি) মো. রিপন সরকার দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ইএফটিতে যুক্ত না হওয়াতে ও গতানুগতি পদ্ধতিতে বেতন-ভাতা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়াও বর্তমানে মাদ্রাসা পরিচালনা বা এডহক কমিটি না থাকায় স্বাক্ষর নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) স্বাক্ষর নিতে হয়। এ স্বাক্ষর নেওয়া ও ব্যাংকে চেক জমা দেওয়ার পর একাউন্টে টাকা জমা হতে হতে সপ্তাহখানিক সময় লেগে যায়।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ) ড. কে এম শফিকুল ইসলাম বিষয়টি জানেন না বলে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান। তিনি অধিদপ্তরের যুগ্ন সচিব মুহাম্মদ মাহবুবুল হকের সঙ্গে কথা বলতে পরামর্শ দেন। তবে চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

















