শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কে কঠিন গুরুত্বপূর্ণ যে অভিযোগ করলেন : পরিকল্পনা উপদেষ্টা - protidinislam.com | protidinislam.com |
জাতীয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কে কঠিন গুরুত্বপূর্ণ যে অভিযোগ করলেন : পরিকল্পনা উপদেষ্টা

  প্রতিনিধি ২১ জুন ২০২৫ , ৪:৪৪:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

ইসলাম ডেস্ক: পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আমার জানামতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি ঘুষ বাণিজ্য হয়। আর সেটি বেশিরভাগই বদলিকে কেন্দ্র করে।

আমি গোয়েন্দা বিভাগের মাধ্যমে খোঁজ নিয়েছি, তারা বলেছে- এখানে মধ্যস্বত্বভোগী অনেক। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতিও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে আসছে নতুন নীতিমালা

গত ১৯ জুন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত সিটিজেন পারসেপশন সার্ভের (সিপিএস) তথ্য প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ জরিপটি বিবিএস চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশব্যাপী পরিচালনা করে। ৬৪ জেলার ১ হাজার ৯২০টি প্রাইমারি স্যাম্পলিং ইউনিট (পিএসএল) থেকে ৪৫ হাজার ৮৬৮টি থানায় ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী মোট ৮ লাখ ৩১হাজার ৮০৭ জন নারী-পুরুষ উত্তরদাতার সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

তথ্য প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক সচিব ড. কাইয়ুম আরা বেগম, তথ্য ও পরিসংখ্যান সচিব আলেয়া বেগম। এতে সভাপতিত্ব করেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

অনুষ্ঠানে ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমার ধারণা ছিল সবাইকে ঘুষ দিতে হয়। তারপরও জরিপে উঠে এসেছে ৩১ শতাংশ নাগরিককে ঘুষ দিতে হয়।

নারীদের কাছে তুলনামূলক ঘুষ কম চাওয়া হয়েছে। তুলনামূলক উচ্চবিত্তরা ঘুষ দেন বেশি। ঘুষ দিয়ে তারা মূলত সেবা কিনে নেন।

আরো পড়ুন:

বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মচারী নিয়োগ দেবে ডিসি, তদারকি করবে মাউশি

পুলিশের দুর্নীতিতে হতাশা প্রকাশ করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, তারা তো এখনো দাঁড়াতেই পারেনি, তারপরও তারা দ্বিতীয় অবস্থানে এটি ভালো কথা নয়। তিনি বলেন, আমার জানামতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি ঘুষ বাণিজ্য হয়।

আর সেটি বেশিরভাগই বদলিকে কেন্দ্র করে। আমি গোয়েন্দা বিভাগের মাধ্যমে খোঁজ নিয়েছি, তারা বলেছে- এখানে মধ্যস্বত্বভোগী অনেক। তাছাড়া পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতিও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জরিপের তথ্যে বলা হয়, সরকারি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে ঘুষ-দুর্নীতি বিষয়ে গত ১ বছরে যে সব নাগরিক সরকারি সেবা গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৬৭ শতাংশ নাগরিক ঘুষ-দুর্নীতির শিকার হয়েছেন।

এরমধ্যে সেবা নিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার হতে হয়েছে বিআরটিএ অফিসে, এক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা পুলিশ বাহিনী। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরও বেপরোয়া সরকারি এসব সংস্থা। ঘুষ চাওয়ার ক্ষেত্রে শুধু অন্য সরকারি অফিসগুলোর মধ্যে রয়েছে, পাসপোর্ট অফিস, ভূমি অফিসও

আরও খবর

Sponsered content