প্রতিনিধি ২২ জুন ২০২৫ , ২:৪৩:১০ প্রিন্ট সংস্করণ
✍️এম এ সাইদ (তন্ময়)ঃ গণঅভ্যুত্থানের উষ্ণতায় জন্ম নেওয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। জাতির এই ক্রান্তিকালে সরকারপ্রধান নিজেই একজন শিক্ষক—একথা শুধু আশাবাদের নয়, গর্বেরও।
আরও গর্বের বিষয়, সরকারের নীতিনির্ধারক পর্ষদে রয়েছেন একঝাঁক আলোকিত শিক্ষক:
📘 পরিকল্পনা উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, ধর্ম উপদেষ্টা—প্রত্যেকেই শিক্ষক পরিচয়ের ধারক ও বাহক।
কিন্তু হৃদয় ভেঙে যায় যখন দেখি—
এই শিক্ষক-নির্ভর সরকারের সময়েই শিক্ষক সমাজ অবহেলিত, বঞ্চিত, লাঞ্ছিত।
জাতি গঠনের এই নেপথ্য নির্মাতারা আজো নিজেদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।
এ যেন এক করুণ পরিহাস!
📌 ইতিহাস আপনাদের হাতে কলম তুলে দিয়েছে, কিন্তু…
এই সরকার যদি তার অল্প সময়ের মধ্যেও একটি শিক্ষা কমিশন গঠনে ব্যর্থ হয়—
তবে ইতিহাসের পাতায় তা ব্যর্থতা হিসেবেই লিপিবদ্ধ হবে।
তখন জাতি বলবে,
👉 “যাঁরা শিক্ষক ছিলেন, তাঁরাই শিক্ষকদের কথা ভুলে গিয়েছিলেন…”
📣 তাই আমরা আজ বলছি স্পষ্ট ও নির্ভয়ে—
🟩 এখনই গঠন করুন একটি পূর্ণাঙ্গ ও কার্যকর শিক্ষা কমিশন।
🟩 নীতিগতভাবে গ্রহণ করুন শিক্ষকদের আর্থিক, সামাজিক ও পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ নীতিমালা।
🟩 শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক, মানবিক ও সময়োপযোগী করতে ‘শিক্ষক নীতি-২০২৫’ চালু করুন।
🟩 নিশ্চিত করুন পেনশন, কল্যাণ তহবিল, চিকিৎসা সেবা ও পদোন্নতির স্বচ্ছ ব্যবস্থা।
🟩 শিক্ষক দিবসকে দিন রাষ্ট্রীয় মর্যাদা—সম্মান যেন থাকে কেবল মুখে নয়, রাষ্ট্রীয় চর্চায়।
শিক্ষকরা জাতি গঠনের প্রথম ও প্রধান কারিগর। তাঁদের হাতে জন্ম নেয় নেতা, বিজ্ঞানী, শিল্পী, বিচারক, প্রশাসক—এমনকি শাসকও।
তবু কেন এই কারিগররাই যুগে যুগে থেকে যান আড়ালে, অবহেলায়?
✨ এই সরকারের আছে সুযোগ—
একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষক সমাজের মুখে হাসি ফিরিয়ে দেওয়ার,
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সম্মানিত শিক্ষাব্যবস্থার ভিত গড়ে দেওয়ার।
আজ যদি আপনারা সেই ইতিহাস গড়তে পারেন—
তবে একদিন আমাদের সন্তানরাও গর্ব করে পড়বে,
👉 “এই সরকারই প্রথম শিক্ষকদের মর্যাদাকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে রূপ দিয়েছিল।”
—
📌 শিক্ষকেরা আজ আর কেবল দাবী জানাচ্ছেন না, তাঁরা ইতিহাসের সামনে একটি প্রশ্ন রেখে যাচ্ছেন।
উত্তর দেবে সময়—
আপনারা শিক্ষক ছিলেন কেবল পেশায়,
নাকি ছিলেন আদর্শে ও দায়িত্বে।