প্রতিনিধি ২৬ জুন ২০২৫ , ১:২০:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ
ইসলাম ডেস্ক: বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কর্মরত আছেন মো. আবু ছালেহ। তার জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) নামের বানান ও জন্মতারিখে ভুল রয়েছে।
এনআইডি সংশোধন করে আবেদনের পর আইবাস++ ওকে দেখালেও বেতন চালু হচ্ছে না তার। আবু ছালেহের মতো এনআইডি সমস্যার কারণে আরও প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বন্ধ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৪ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী। শিক্ষকরা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন।
কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে অনেকের এমপিও শিটের নামের সঙ্গে এনআইডির নামের ডট (.), হাইফেন (-), কমা (,) বা আক্ষরিক অমিল আছে অথবা ব্যাংক হিসাবের নামে আংশিক ভুল আছে। কিন্তু জন্মতারিখ অভিন্ন—এমন সমস্যায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রয়েছে।
ফলে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর ৫ থেকে ৭ মাস ধরে বেতন বন্ধ রয়েছে। আইবাসে নাম ও জন্ম তারিখের সংশোধন সঠিক পন্থায় যাচাই-বাছাই শেষে ইএফটিতে তথ্য দেওয়ার পর বেতন চালু হয়ে থাকে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারী বলেন, নামের বানান ও জন্মতারিখ ভুলের কারণে ৫ থেকে ৭ মাস ধরে বেতন বন্ধ রয়েছে। দ্রুততম সময়ে সংশোধনসহ পুনরায় বেতন চালু হলে আমাদের পরিবার নিয়ে চলা সহজ হতো।
এক ভুক্তভোগী কর্মচারী বলেন, আমার নামের আক্ষরিক ও জন্মতারিখ ভুলের কারণে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে বেতন বন্ধ রয়েছে। চলতি বছরের মে মাসে ইএফটিতে আইবাস++ ওকে দেখালেও এখনো আমার বেতন চালু হচ্ছে না।
মাউশির ইএমআইএস সেলের সিনিয়র সিস্টেম এনালিষ্ট খন্দকার আজিজুর রহমান বলেন, ‘আইবাস++ এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক যতদিন এনআইডি ভেরিফায়েড না হয়ে ইএফটিতে তথ্য যুক্ত হচ্ছে, ততদিন বেতন চালু হবে না। তবে শিক্ষক-কর্মচারীদের সমস্যা সমাধানে কাজ চলমান রয়েছে।’