প্রতিনিধি ১১ জুলাই ২০২৫ , ১০:২২:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
হাফেজ আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আমিরুল ইসলাম: আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আলহামদুলিল্লাহ, আসসালাতু আসসালামু আলা রাসুলিল্লাহ।
আরো পড়ুন:
কবরের ভয়ংকর শাস্তি ও প্রস্তুতি: কোরআন-হাদিসের আলোকে বিস্তারিত আলোচনা
আজ বলছি এক মহিমান্বিত দিনের কথা—মহররম। হিজরি বছরের প্রথম মাস, আর এই মাসের দশম দিনকে বলা হয় আশুরা। এটি ইসলামের ইতিহাসের বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী।
📖 আল্লাহ তাআলা বলেন:
> “নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর লিখিত মাসের সংখ্যা বারটি, এর মধ্যে চারটি মাস পবিত্র।”
📚 (সূরা তাওবা, আয়াত ৩৬)
⚡ আশুরার দিনে সংঘটিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা:
হযরত আদম (আ.)-এর তওবা কবুল হয়
হযরত নূহ (আ.)-এর কিশ্তি জুদি পাহাড়ে অবতরণ করে
হযরত ইব্রাহিম (আ.) নমরূদের আগুন থেকে মুক্তি পান
হযরত ইউসুফ (আ.) কারাগার থেকে মুক্তি পান
হযরত আইউব (আ.) রোগমুক্তি লাভ করেন
হযরত ইউনুস (আ.) মাছের পেট থেকে উদ্ধার হন
হযরত মূসা (আ.) ও তাঁর জাতি ফেরাউন থেকে রক্ষা পান
🔥 কারবালার প্রান্তরে হুসাইন (রা.)-এর আত্মত্যাগ
হযরত ইমাম হুসাইন (রা.) ছিলেন রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রিয় নাতি। ইয়াজিদের অন্যায় শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে তিনি সত্য ও ইসলামী আদর্শ রক্ষার্থে প্রাণ উৎসর্গ করেন।
১০ মহররম ৬১ হিজরি (৬৮০ খ্রিষ্টাব্দ), আশুরার দিন, কারবালার প্রান্তরে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে শাহাদাত বরণ করতে হয়।
—
✅ আমাদের করণীয়
আশুরার দিনে রোজা রাখা
আত্মশুদ্ধির জন্য কাজ করা
সত্য, ন্যায় ও ইনসাফের পথে অটল থাকা
কারবালার আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নেওয়া
🕌 পবিত্র আশুরার শিক্ষা ও আমাদের করণীয়
মহররমের শিক্ষা
আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জন
সত্য ও ন্যায়ের পথে অটল থাকা
জালেমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো
ইসলামের সুনীতির রক্ষা করা
হযরত ইমাম হুসাইন (রা.)-এর শাহাদাত মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসে গভীর বেদনা ও ত্যাগের স্মৃতি হয়ে আছে। তাঁর আত্মত্যাগ শিক্ষা মুমিনদের সততা, নামাজ ও ইনসাফের পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করে।
ফজিলত
রাসূল (সা.) বলেন:
> “রোজার মধ্যে রমজানের পর সর্বাধিক ফজিলতের রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররমের রোজা।”
📚 (সহিহ মুসলিম, হাদিস ১১৬৩)
আবু কাতাদা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
> “আশুরার রোজা পূর্ব এবং পরবর্তী বছরের গুনাহ মাফ করায়।”
📚 (সহিহ মুসলিম, হাদিস ১১৬২)
এই দিন আরও বহু ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত। যেমন:
হযরত মূসা (আ.) ও তাঁর জাতি ফেরাউন থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।
রাসূল (সা.) বলেন: “মুসা (আ.)-এর সাথে আমাদের অধিক সামঞ্জস্য আছে, তাই আমরা এই রোজা রাখব।”
📚 (সহিহ বুখারী, হাদিস ২০০৪)
রাসূল (সা.) বলেছিলেন, ইহুদিদের সাথে সাদৃশ্য এড়াতে আশুরার পাশাপাশি ৯ বা ১১ তারিখেও রোজা রাখা উত্তম।
মূল শিক্ষা
এই মাস শুধু রোজার জন্য নয়, বরং আমাদের শিক্ষা দেয়:
ত্যাগ
ধৈর্য
সত্য ও ন্যায়ের পথে অটল থাকা
কারবালার ময়দানে হযরত ইমাম হুসাইন (রা.) সত্যের জন্য জীবন উৎসর্গ করেন — যা সততা ও ন্যায়ের প্রতীক।
আগ্রহী পুরুষ/ মহিলা যোগাযোগ করতে পারেন।
📞 মোবাইল: 01717289550 (WhatsApp)
📧 ইমেইল:
masayeedtonmoy@gmail.com