জাতীয়

তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার কে বলেছ কে বলেছে হাসিনা স্বৈরাচার : আসিফ

  প্রতিনিধি ১৫ জুলাই ২০২৫ , ৩:৩২:২৯                        

ইসলাম ডেস্ক: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা বনাম রাজাকার এই বিভাজনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা দেশকে বিভাজিত করেছিলেন।

আরো পড়ুন:

গণভোট ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ‘হাত দেওয়া’ যাবে না: বিএনপি

মুজিববাদী আদর্শ গত ৫০ বছর ধরে দেশকে বিভাজিত করে রেখেছিল। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই বিভাজনকে তোয়াক্কা না করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক ও সর্বজনের বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম। যেই বাংলাদেশ হবে শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্ত ও আমজনতার।

শিক্ষার খবর সহ সকল প্রকার খবর সবার আগে জানতে
আমাদের পেইজে ফলো দিয়ে সাথেই থাকুন সারাক্ষণ

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ভোলা প্রেস ক্লাব চত্বরে জুলাই পদযাত্রা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ২৪ সালের ১৪ জুলাই রাতে দিল্লির তাবেদার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের রাজাকারের নাতিপুতি বলে কটাক্ষ করেছিল।

সেই রাজাকার শব্দের প্রতিবাদ জানিয়ে সারা দেশের ছাত্র সমাজ রাতের বেলা রাজপথে নেমে এসেছিল, যার নেতৃত্বে আমাদের বোনেরা। পরদিন সেই বোনদের লক্ষ্য করে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নির্মম অত্যাচার ও আক্রমণ চালায়। কিন্তু আমাদের বোন ও ভাইয়েরা পিছু হটেনি। তারা প্রতিরোধ তৈরী করেছিল।

তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্ররা পাশে দাঁড়িয়েছিল। পাশে দাঁড়িয়েছিল শিক্ষক সমাজ, শ্রমিক, আমাদের অভিভাবক এবং সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল।

ভোলার উন্নয়ন নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা জানি এই ভোলার মানুষকে যুগের পর যুগ সব উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। আধুনিক যুগে যেখানে তথ্যপ্রযুক্তি সব দূরত্ব ঘুচিয়ে দেয় সেখানে ভোলাবাসীকে আমাদের থেকে দূরে রাখা হয়েছে।

আমরা আসছি সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে ভোলাবাসীকে আপন করে নিতে। আজ থেকে ভোলাবাসীর সঙ্গে আমাদের আর কোনো দূরত্ব থাকবে না।

তিনি বলেন, সারা দেশের গ্যাস যোগানদাতাদের মধ্যে অন্যতম হলো ভোলা জেলা। অথচ ভোলার লোকজনকে গ্যাস ও স্বাস্থ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। এখানকার হাসপাতালগুলোকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে।

মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) আব্দুল্লাহ আল মামুন ফয়সাল, সদস্য হাসিব আর রহমান, শহীদ মো. হাসানের পিতা মো. মনির হোসেন প্রমুখ।

পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার নিভা, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ প্রমুখ।

এর আগে দুপুরে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ভোলা এসে শহরের কালিবাড়ি মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। পরে তারা শহরের মানুষের সঙ্গে কৌশল বিনিময় করে সদর রোড, কালিনাথ রায়ের বাজার, ইলিশ ফোয়ারা হয়ে প্রেস ক্লাব চত্বরে সভা মঞ্চে আসেন।

Google News

প্রতিদিন ইসলাম অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে
Google News ক্লিক করুন।

আরও খবর

Sponsered content