প্রতিনিধি ১৭ জুলাই ২০২৫ , ৩:১৪:৪৪
ইসলাম ডেস্ক: অঙ্গ দান নিয়ে ‘সুখবর’ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজনসংক্রান্ত অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
আরো পড়ুন:
ঢাবি ভিসি চত্বরে গায়েবানা জানাজায় পুলিশের বাধা, ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা
হালনাগাদ আইনে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দানের পরিধি যেমন বেড়েছে, তেমনি দেশের ভেতরেই বৈধভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া মৃত্যুর পর চিকিৎসার কল্যাণে দেহদানের নিয়মনীতিতেও এসেছে পরিবর্তন।’
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনার কথা তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কিডনি অকেজো হয়, চোখে দেখতে পান না। কর্নিয়া সংযোজন হলে চোখের অন্ধত্ব দূর করা যায়। আরও অনেকগুলো বিষয় রয়েছে।
আরো পড়ুন:
হায়রে হায়!আড়াই বছরের প্রকল্প ১০ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি, ব্যয় বেড়েছে ১৬শ কোটি
এ বিষয়ে বাংলাদেশের আইন অনেক দিন ধরে হালনাগাদ হয়নি। যা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে কাজ করা হাসপাতাল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা হয়েছে, এ-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইন দেখা হয়েছে। সে অনুযায়ী নতুন অধ্যাদেশ জারি হয়।’
বাংলাদেশে এখন অঙ্গ প্রতিস্থাপন খুব সহজ হবে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘আগে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য নিকটাত্মীয় ভাই-বোন-বাবা-সন্তানদের থেকে নিতে পারতেন। এখন এটাকে আরও বর্ধিত করা হয়েছে।
ফলে বাংলাদেশের অনেককে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে যেতে হবে না। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য অবৈধভাবে কাউকে বিদেশেও নিতে হবে না। বাংলাদেশের হাসপাতালগুলো এ সেবা দিতে পারবে। আইনটিকে বাংলাদেশের জন্য যুগান্তকারী বলে মনে করে সরকার।’
নতুন আইনের ফলে কারা কারা অঙ্গ দান করতে পারবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘পরিধি বাড়ানো হয়েছে। বিষয়টি আইনে বিস্তারিত দেওয়া আছে। আগে ভাতিজা-ভাগনেরা দিতে পারতেন না, এখানে তাদেরও যুক্ত করা হচ্ছে।’
শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘অনেকেই দেহ দান করে যান। দেহ দান করলে লাশ থেকে অঙ্গগুলো আইনগতভাবে ব্যবহার করা যাবে। সে বিষয়গুলো আইনে রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আইনের কপি নিতে পারবেন।’
বৈঠকে উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি ও নাঈম আলী উপস্থিত ছিলেন।