প্রতিনিধি ২৪ জুলাই ২০২৫ , ১২:০৫:০২
ইসলাম ডেস্কঃ মাদ্রাসা শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য সারা দেশে একই ধরনের চার বা ছয় তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করছে সরকার।
আরো পড়ুন:
চাকুরীজীবিদের জন্য বিশাল সুখবর দিলেন সরকার
কিন্তু এসব স্থাপনা, আইসিটি ল্যাব বা মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না বলে পরিদর্শনে প্রমাণ পেয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিতসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার প্রকল্প ও রাজস্ব বাজেটের আওতায় মাদ্রাসাসমূহে প্রদত্ত সরকারি সম্পত্তি (ভবন/আইসিটি ল্যাব/মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ইত্যাদি) রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্দেশ্যে করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তররের আওতাধীন ‘নির্বাচিত মাদ্রাসাসমূহের উন্নয়ন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প’র আওতায় সারা দেশে সর্বমোট ১ হাজার ৬৪৮টি মাদ্রাসায় একাডেমিক ভবনের মধ্যে ১ হাজার ২৯৯টি মাদ্রাসায় নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট মাদ্রাসায় নির্মাণকাজ ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য সারা দেশে একই ধরনের (প্রোটোটাইপ) চার বা ছয় তলা দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে গভীর উদ্বেগের সাথে প্রায়শঃই দেখা যাচ্ছে যে, ভবনসমূহ রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না, শ্রেণিকক্ষ অপরিচ্ছন্ন থাকে এবং টয়লেট ও বেসিন নষ্ট হওয়ার ফলে ওয়াশক ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়া চার তলার ছাদে দুই পার্শ্বে পানির ট্যাংকের নিচে পানি জমে শেওলা পড়ে বিভিন্ন ধরনের গাছপালা গজিয়েছে। ফলে মাত্র দুই-এক বছর পূর্বে হস্তান্তরিত ভবনসমূহ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পরিদর্শনকালে প্রতীয়মান হয় যে, কোন কোন প্রতিষ্ঠান সরকারি সরকারি স্থাপনা, ভবন ও সম্পত্তি রক্ষায় উদাসীন।
এতে বলা হয়েছে, প্রকল্পের অনুমোদিত প্রকল্প দলিলে উল্লিখিত ভবনের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা, আদর্শ পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি (এসওপি) এবং প্রকল্পের এক্সিট প্ল্যানবিষয়ক দিক নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে ভবনসমূহ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; যা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে অনুসরণীয়।
তৎপ্রেক্ষিতে ‘নির্বাচিত মাদ্রাসাসমূহের উন্নয়ন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পটির আওতায় নির্মিত মাদ্রাসার প্রধানদের প্রকল্প দলিলের নির্দেশনা আবশ্যিকভাবে প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ করা হলো। বর্ণিত প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্প ও রাজস্ব বাজেটের আওতায় প্রদত্ত সরকারি সম্পত্তি যেমন ভবন/আইসিটি ল্যাব/মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ইত্যাদির রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনায় ব্যর্থ হলে আইনানানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিতকরণসহ প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে এতে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সভাপতি এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে এ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।