প্রতিনিধি ২৭ জুলাই ২০২৫ , ১১:৩৯:১০
ইসলাম ডেস্ক: ঢাকা থেকে ভুল ট্রেনে ওঠার পর টাঙ্গাইলে রেলস্টেশনে নামা নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজন আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কোথাও নিয়ন্ত্রণ নেই, আগে ১ লাখ টাকা ঘুস নিলে এখন নিচ্ছে ৫ লাখ
শনিবার রাতে তারা টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা পৃথকভাবে জবানবন্দি দেন।
রাত ৯টার দিকে জবানবন্দি শেষে বিচারক মিনহাজ উদ্দিন ফরাজী এবং রুমেলিয়া সিরাজাম তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে রোববার টাঙ্গাইলের আদালত পুলিশের পরিদর্শক লুৎফর রহমান জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার তিন আসামি হলেন-টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ব্রাহ্মণকুশিয়া সুতার পাড়া এলাকার সেন্টু চন্দ্র দাশের ছেলে দুলাল চন্দ্র (২৮), হালিম খানের ছেলে সজিব খান (১৯) ও কিসমত মিয়ার ছেলে রুপু মিয়া ওরফে নুপুর (২৭)।
তারা পেশায় অটোরিকশার চালক। সকালে সদর উপজেলার ঘারিন্দা ব্রাহ্মণকুশিয়া সুতার পাড়া এলাকা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ বলছে, ভুক্তভোগী নারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি বিভিন্ন বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন।
চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য শুক্রবার রাতে তিনি নাছিরনগর থেকে ঢাকা এয়ারপোর্ট রেলস্টেশনে আসেন। পরে সেখান থেকে তিনি ভুল করে উত্তরবঙ্গগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠে পড়েন।
ট্রেনে উঠে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন, পরে ঘুম ভাঙ্গলে যাত্রীদের কাছে জিজ্ঞাসা করে টাঙ্গাইলে থাকার কথা এবং ভুল ট্রেনে ওঠার বিষয়টি বুঝতে পারেন।
পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে যান ওই নারী এবং স্টেশনে থাকা জিআরপি পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। এ সময় পুলিশের এক সদস্য অটোরিকশাচালক দুলালকে ওই নারীকে ঢাকার ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেন।
কিন্তু দুলাল তরুণীকে প্রথমে স্টেশনের পেছনে কাঠবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে স্টেশন সংলগ্ন ব্রাহ্মণকুশিয়ায় রুপু মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে রুপু মিয়া ও সজিব খান দলবেঁধে তাকে ধর্ষণ করেন।
পরে ওই ভোরের দিকে ভুক্তভোগী নারী রেলস্টেশনে গিয়ে পুলিশকে ধর্ষণের বিষয়টি জানান।
শনিবার দুপুরে ওই তরুণী তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন বলে টাঙ্গাইল থানার ওসি তানভীর আহমেদ জানান।
টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হারুন উর রশীদ বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা থানা পুলিশকে অবগত করি। আমাদের সহযোগিতায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।