অপরাধ

জাল সনদধারী মাদ্রাসা শিক্ষকদের এমপিও বাতিল, বেতন ফেরতের নির্দেশ

  প্রতিনিধি ২৯ জুলাই ২০২৫ , ১১:৩৮:৩৯                        

ইসলাম ডেস্ক: বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সনদ, সুপারিশপত্র জাল ও ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় নরসিংদীর শেখেরগাঁও জে ইউ ফাযিল মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের এমপিও বাতিল করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সতর্ক করে বেতন ফেরত এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:
রোববার (২৭ জুলাই) মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থ শাখা থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

শিক্ষার খবর সহ সকল প্রকার খবর সবার আগে জানতে
আমাদের পেইজে ফলো দিয়ে সাথেই থাকুন সারাক্ষণ

নির্দেশনায় বলা হয়, এনটিআরসিএর ২০২৫ সালের ২৮ মে তারিখের একটি স্মারকের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়া গেছে, শেখেরগাঁও জে ইউ ফাযিল মাদ্রাসার দুই শিক্ষক শুভ (প্রভাষক, আইসিটি; ইনডেক্স নম্বর : এম০০৩৬***) এবং চুলাইমান (প্রভাষক, আরবী; ইনডেক্স: এম০০৫২***) তাদের এনটিআরসিএ সনদ ও সুপারিশপত্র জাল ও ভুয়া।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী এমপিও বাছাই ও অনুমোদন কমিটির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে উল্লিখিত দুই শিক্ষকের ইনডেক্স বাতিল করা হয়েছে।

এতে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে সতর্ক করে আরও বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে যেন এমন কোনো জাল সনদধারীর আবেদন পাঠানো না হয়। পাশাপাশি, বর্ণিত দুই শিক্ষক ইতোমধ্যে সরকারি খাত থেকে যে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন, তা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে প্রমাণসহ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করার অনুরোধ করা হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, বেতন ফেরত এবং আইনগত পদক্ষেপ নিতে গাফিলতি বা শৈথিল্য দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকেই-এর দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে।

উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) দায়িত্ব পালন করে থাকে। সংস্থাটির নিজস্ব পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের একটি মেধাতালিকা তৈরি করা হয় এবং এই তালিকার ভিত্তিতেই বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাল সনদ ও ভুয়া সুপারিশপত্রের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেকে চাকরি করছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে দফায় দফায় বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

Google News

প্রতিদিন ইসলাম অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে
Google News ক্লিক করুন।

আরও খবর

Sponsered content