প্রতিনিধি ৪ আগস্ট ২০২৫ , ১০:৪৮:০৭
ইসলাম ডেস্কঃ আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
আরো পড়ুনঃ
সরকারি চাকরি পাওয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের তথ্য নিচ্ছে : ফারুক-ই-আজম
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এক মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
উপদেষ্টা বলেন, আমি আশা করি সেপ্টেম্বর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। প্রকল্পের ক্রয়প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যারা বাস্তবায়ন করবে তাদের প্রশিক্ষণও চলছে। আগস্টের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করে সেপ্টেম্বরেই মাঠে নামা যাবে।
তিনি বলেন, দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশজুড়ে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে বড় প্রকল্পটি ১৫০টি উপজেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালু হবে, অন্য প্রকল্পটি কক্সবাজার ও বান্দরবানে কার্যকর হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, বিভাগীয় কমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নুর মো. শামসুজ্জামান, পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড প্রদানসহ প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ এবং পিএসসির মাধ্যমে তিন হাজার প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। নিম্নবিত্ত শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানোন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পরীক্ষার বাইরে থাকলেও তাদের আলাদা ব্যবস্থা চালু আছে।
সরকারি বিদ্যালয়ে সময় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক বছরে স্কুল থাকে মাত্র ১৮০ দিন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংযোগ যদি না থাকে তাহলে শেখার সুযোগ সীমিত হয়। তাই সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদ্যালয়কে শিশুদের আনন্দঘন পরিবেশে রূপান্তর করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে ‘প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়’ সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। এতে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন অংশীজনের মতামত গ্রহণ করা হয়। সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক এবং শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশ নেন। তারা মাঠপর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষার বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন এবং বিভিন্ন সমস্যা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
প্রধান শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সমস্যা, শিক্ষক সংকট,যত্রতত্র বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন ও স্কুল প্রতিষ্ঠার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। পাশাপাশি, তারা বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন পদ্ধতি, শিশুদের অংশগ্রহণমূলক শিক্ষা পরিবেশ এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।