তথ্য প্রযুক্তি

পাবিপ্রবিতে ৫ ছাত্রের আমরণ অনশন

  প্রতিনিধি ৯ আগস্ট ২০২৫ , ১১:৩৯:১৪                        

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) হলের সিট ১০ শতাংশ কোটা এবং জুলাই ৬ হলের ফলাফল বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন ৫ ছাত্র।

আরো পড়ুন

নোয়াখালীতে ১৭৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতা শিক্ষাব্যবস্থায় বিপাকে

তারা হলেন, বাংলা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মিকাইল হোসেন, গণিত বিভাগের তৌফিক হায়াত ওয়াসিন, ঐ বিভাগের সাখাওয়াত হোসাইন, সমাজকর্ম বিভাগের সোহেল রানা ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আবু জিহাদ।

শনিবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশনে বসেন।

তারা জানান, জুলাই ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রদের হলে ওঠার জন্য গত ৬ আগস্ট ফলাফল দেওয়া হয়। সেই ফলাফলে অনিয়ম এবং অস্বচ্ছতা ধরা পড়ে।

এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্ররা সমালোচনা শুরু করলেও দুই দিনের মধ্যে হল প্রশাসন এর কোনো সঠিক ব্যাখা দিতে পারেনি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীতিমালা তৈরি করে তাদের হাতে ১০ শতাংশ সিট রেখেছে। ফলাফল প্রকাশের সময় সেই ১০ শতাংশ সিট তারা রাজনৈতিক দলগুলো এবং এক সমন্বয়কের মধ্যে বণ্টন করেন। যারা যারা সিট পাওয়ার যোগ্য ছিল তারা সিট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এই অবস্থায় তারা হল প্রশাসনের হাতে থাকা ১০ শতাংশ সিট এবং বিতর্কিত ফলাফল বাতিল করে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে সিট বণ্টনের দাবিতে অনশনে বসেছেন।

‎অনশনরত বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মিকাইল হোসেন বলেন, আমরা এখানে অনশনে বসেছি মূলত আমাদের ন্যায্য দাবির জন্য। দ্বিতীয় মেধা তালিকাটি প্রকাশের পর সেখানে কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আমরা হলের ফলাফল প্রকাশের পর দেখতে পেয়েছি অনেক ভাইয়ের সিজিপিএ ভালো এবং আর্থিক অবস্থা খারাপ হলেও তারা সিট পাননি।

আবার দেখা গেছে অনেকের সিজিপিএ কম ও আর্থিক অবস্থা ভালো হলেও তারা হলে সিট পেয়েছে। এ ছাড়া ৫ আগস্টের পর থেকে কোটা মুক্ত বাংলাদেশ হলেও প্রশাসনের জন্য সংরক্ষিত আসন ১০ শতাংশ রাখা হয়েছে।

এই আসনগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিয়ে দিক, যাদের বাসা দূরে, আর্থিকভাবে অসচ্ছল, বিশেষ করে যাদের বাবা নেই এবং যারা নিজেরাই টিউশনি করে পড়াশোনা করছে, তাদের মাঝে বণ্টন করা হোক। দ্বিতীয় মেধা তালিকাটি বাতিল করা হোক এবং নতুন করে মেধা তালিকা দিতে হবে।

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াসিম বলেন, ‎আমি জুলাই ৬ হলে আবেদন করেছিলাম। আমার ব্যাচের ১১ শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ৮ জনকে সিট দেওয়া হয়। আমি আশাবাদী ছিলাম যে, আমি হলে সিট পাব। কারণ দূরত্বের দিক দিয়ে এবং আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আমি আসলেই সিট পাওয়ার যোগ্য।

কিন্তু যখন রেজাল্ট দেখলাম তখন ৮ জনের মধ্যে আমি আমার নাম খুঁজে পেলাম না। আমি দেখতে পেলাম এই ৮ জনের মধ্যে দলীয়করণের ভিত্তিতে চার থেকে পাঁচজন সিট পেয়েছে। অনেকের বাবা সরকারি চাকরিতে আছে, কারও বাবা এসআই, আবার কারও বাবা শিক্ষক। সিট যাদেরই দিক ন্যায্যতার ভিত্তিতে দিক- এটাই আমার দাবি।

আমি অনশনে বসেছি যাতে সিটগুলো ন্যায্যতার ভিত্তিতে দেওয়া হয়। তাতে আমি সিট পাই বা না পাই আমার কোনো আফসোস নেই। আমার ৬ ভাই-বোন। বাবা স্বল্প আয়ে আমাদের পরিবার চালান। এ জন্য আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।



জুলাই ৬ হলের প্রভোস্ট ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। ভিসি স্যার ঢাকায় আছেন, উনি এলে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আবদুল আওয়ালকে একাধিকবার ফোন দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি।

Google News

প্রতিদিন ইসলাম অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে
Google News ক্লিক করুন।

আরও খবর

Sponsered content