প্রতিনিধি ২০ আগস্ট ২০২৫ , ১:৪৪:৫৮
ইসলাম ডেস্ক: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। কারণ ব্যতিরেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত না করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও বাতিল ও কমিটির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো পড়ুন:
এনটিআরসিএ’র উত্তীর্ণরা নিয়োগ পত্র পাবেন যে তারিখে
বুধবার (২০ আগস্ট) মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠি প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন মাদরাসা শিক্ষা প্রপ্তিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা অধিদপ্তর থেকে নিয়মিত প্রদান করা হয়ে থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কারণ ব্যতিরেকে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটি কর্তৃক কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতার সরকারি অংশ (এমপিও) দেয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিধি অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা শিক্ষক কর্মচারীদের প্রদান না করার এখতিয়ার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান বা কমিটিকে দেয়া হয়নি। এমনকি কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে কমিটি কর্তৃক সাময়িক বরখাস্ত করা হলে তার খোরপোষ ভাতাও বন্ধ করা যাবে না।
কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীর বেতন-ভাতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য এমপিও নীতিমালায় স্বাক্ষরকারী এবং প্রতিস্বাক্ষরকারীর একাধিক বিকল্প রাখা হয়েছে। যেমন, সুপার বা অধ্যক্ষ না থাকলে সহ. সুপার বা উপাধ্যক্ষ এবং সহ.সুপার বা উপাধাক্ষ্য না থাকলে জোষ্ঠ্য শিক্ষককে বেতন বিলে স্বাক্ষর এবং সভাপতির অনুপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বা জেলা প্রশাসক কে প্রতিস্বাক্ষর করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
কর্মরত শিক্ষক- কর্মচারীর বেতন না দেয়া বিধিবহির্ভূত এবং অনভিপ্রেত। এছাড়া কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলে তা সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে নিস্পত্তি বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার বা স্থায়ী বরখাস্ত করার বিধান রয়েছে যা প্রতিপালিত হচ্ছে না। প্রাতিষ্ঠানিক শৃংখলার সুবিধার্থে বর্ণিত বিধান প্রতিপালন অত্যন্ত জরুরি।
এমন পরিস্থিতিতে, প্রাতিষ্ঠানিক শৃংখলার সুবিধার্থে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা দেয়া। এ নির্দেশনা পালন না করলে ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত, সর্বশেষ পরিমার্জিত)’ অনুসারে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও স্থগিত বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল করা হবে।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড প্রবিধানমালা ২০০৯ এর অনুচ্ছেদ ৩৮ অনুসারে কমিটির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে
সাবস্ক্রাইব না করলে নিউজ পড়তে পারবেন না।