প্রতিনিধি ২০ আগস্ট ২০২৫ , ২:৫৭:০৯
ইসলাম ডেস্কঃ দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন করেও ১৬ হাজারের অধিক প্রার্থী সুপারিশ পাননি। বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর বাদ পড়া নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যদিও সুপারিশকারী সংস্থা বলছে, পদ না থাকা, ভুল চাহিদাসহ নানা কারণে প্রার্থীরা বাদ পড়েছেন।
আরো পড়ুন:
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন নিয়ে নতুন নির্দেশনা, না মানলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও স্থগিত
বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে এক লাখ ৮২২টি শূন্য পদের বিপরীতে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে আবেদন করেন ৫৭ হাজার ৮৪০ টি আবেদন জন। প্রেরিত শূন্যপদ বাতিলের আবেদনের প্রেক্ষিতে মোট ৭৮০টি পদের চাহিদা বাতিল করা হয়। এছাড়া ১২৫ জন প্রার্থী তাদের নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত পদ বিষয় ও প্রতিষ্ঠান ধরণ বহির্ভূত পদে আবেদন করায় তাদের আবেদন বাতিল করা হয়। সবমিলিয়ে ৪১ হাজার ৬২৭ জনকে নিয়োগ সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। আবেদন করেও বাদ পড়ে যান ১৬ হাজার ২১৩ জন।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, কিছু কিছু সাবজেক্টে পদের চেয়ে প্রার্থী সংখ্যা বেশি ছিল। এ পদগুলোতে চাইলেও সবাইকে সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি। ফলে আবেদনকৃত সবাই সুপারিশ পাননি। মেধাতালিকায় এগিয়ে থাকা বেশি নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থীরা নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন। বাদ পড়েছেন পিছিয়ে থাকারা।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা চাইলেও সবাইকে সুপারিশ করতে পারব না। কেননা কিছু বিষয়ে শূন্য পদ অনেক কম ছিল। যে বিষয়গুলোতে পদ কম ছিল, সেই বিষয়ে আবেদনকৃত প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি থাকায় সুপারিশ না পাওয়ার সংখ্যা বেশি মনে হচ্ছে। পদ ফাঁকা না থাকায় অনেককে সুপারিশ করা যায়নি।’
সুপারিশ না পাওয়া প্রার্থীদের নিয়ে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আপাতত আমরা নতুন বিধিমালা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনায় রয়েছি। তবে যেহেতু পদ শূন্য রয়েছে, সেহেতু শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি নির্দেশনা দেয়, তাহলে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
জানা গেছে, ১৮ তম নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর। এতে আবেদন করেন ১৮ লাখ ৬৪ হাজার ৭১৯ জন। প্রিলিমিনারী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ। এতে অংশগ্রহণ করেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। এ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় গত বছরের ১৫ মে। এতে উত্তীর্ণ হন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন।
সাবস্ক্রাইব না করলে নিউজ পড়তে পারবেন না।
লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৮০ জন। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় গত বছরের ১৪ অক্টোবর। এতে উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন ৮১ হাজার ২০৯ জন। এতে উত্তীর্ণ হন ৬০ হাজার ৬৩৪ জন।
সাবস্ক্রাইব না করলে নিউজ পড়তে পারবেন না।