আইন আদালত

“মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়ে ডিডিও ক্ষমতা হস্তান্তর: মাধ্যমিকের ডিডিদের ক্ষোভ”

  প্রতিনিধি ২০ আগস্ট ২০২৫ , ৩:৪১:৫২                        

ইসলাম ডেস্ক: মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর’- এর আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা উপ-পরিচালকদের (মাধ্যমিক) থেকে পরিচালকদের (কলেজ) কাছে ন্যস্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আরো পড়ুন:

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন নিয়ে নতুন নির্দেশনা, না মানলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও স্থগিত

মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়টির প্রশাসনিক প্রধান পরিচালকরা হলেও এতদিন প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা (ডিডিও) উপ-পরিচালকদের (মাধ্যমিক) নিকট ন্যস্ত ছিল। এতে ডিডিও ক্ষমতা পেয়ে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা খুশি হলেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালকগণ (মাধ্যমিক) ও বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস)। তারা আঞ্চলিক কার্যালয়কে মাধ্যমিক ও কলেজে পৃথকীকরণ করে দুই দপ্তরেই আলাদা আলাদা অফিস প্রধান নিয়োগ ও ডিডিও ক্ষমতা প্রদানের দাবি করেন।

জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ের কার্যক্রমের ক্ষেত্রে দুইটি শাখা। একটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয় (কলেজের কার্যক্রমগুলো পরিচালিত হয়) অন্যটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের কার্যালয় (মাধ্যমিক শাখার কার্যক্রমগুলো পরিচালিত হয়)। কাজের ক্ষেত্র বিবেচনার দৃষ্টিভঙ্গিতে আঞ্চলিক অফিস দুইটি মনে হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিকভাবে মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয় একটি। যার প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে দায়িত্বে পরিচালকরা। তবে পরিচালকের কার্যালয়ের পরিচালক, উপ-পরিচালক ও সহকারি পরিচালকের পদ এতদিন সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রােগ্রাম (SESIP) এর অস্থায়ী পদ থাকায় প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা ছিল উপ-পরিচালকদের (মাধ্যমিক) হাতে।

চলতি বছরের গত ১৪ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামোতে বিদ্যমান পদের অতিরিক্ত ৫২টি পদ এবং জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) এর সাংগঠনিক কাঠামোতে বিদ্যালয় পদের অতিরিক্ত সাতটি উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ) পদসহ মোট ৫৯টি ক্যাডার পদ রাজস্বখাতে স্তায়ীভাবে সৃজন করে। যার মধ্যে মাউশির নয়টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক, উপ-পরিচালক ও সহকারি পরিচালক (কলেজ)সহ মোট ২৭ টি পদ স্থায়ীভাবে রাজস্ব খাতে নেওয়া হয়। আর পদগুলোতে শিক্ষা ক্যাডারর কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হয়।

আঞ্চলিক কার্যালয়ের পদগুলো স্থায়ী পদ সৃজনের পরই আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালকদের নিকট ন্যস্ত করার উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় মনে করে যেহেতু পরিচালক পদটি আঞ্চলিক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অফিসের প্রধান প্রশাসনিক পদ এবং তাঁর নিয়ন্ত্রণে কার্যালয়টি পরিচালিত হয় বিধায় প্রশাসনিক ও আর্থিক এবং কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে তাঁর বিপরীতে আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তার (ডিডিও) দায়িত্ব/ক্ষমতা হস্তান্তর করার অতিব প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। সে কারণেই এই ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে।

পরিচালকদের হাতে আয়ন-ব্যয়ন ক্ষমতা ন্যস্ত করে গত ১০ আগস্ট (২০২৫) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক বিভাগের সচিবের নিকট চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। চিঠিতে বলা হয়, “মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখের স্মারক নং- ৩৭,০০,০০০০,০৮১,৪৪,০০১,২১ (অংশ-১)-১৩৮ এর মাধ্যমে ১২৫০২- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর’- এর অধীন ০১টি আঞ্চলিক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অফিসে মোট ০৯টি পরিচালক, ০৯টি উপ-পরিচালক (কলেজ) এবং ০৯টি সহকারী পরিচালক (কলেজ) পদ রাজস্ব খাতে স্থায়ীভাবে সৃজন করা হয়। সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহে সৃষ্ট পদের বিপরীতে কর্মকর্তা পদায়ন করা হয়। বর্ণিত অফিসসমূহে উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তা (ডিডিও) হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পরিচালক পদটি আঞ্চলিক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অফিসের প্রধান প্রশাসনিক পদ এবং তাঁর নিয়ন্ত্রণে প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় বিধায় প্রশাসনিক ও আর্থিক, কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে তাঁর বিপরীতে আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তার (ডিডিও) দায়িত্ব/ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য লক্ষে পরিচালকদের ডিডিও আইডি IBAS++ এ পরিবর্তন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।”

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত যুগোপযোগী ও সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা এবং সংশ্লিষ্ট পদে কর্মরত কর্মকর্তারা। তারা বলেন, একটি অফিসের অফিস প্রধানের হাতে যদি প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা না থাকে তাহলে দপ্তরের কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং সুষ্ঠভাবে কার্যক্রম করা সম্ভব হয় না। মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা যুগোপযোগী ও সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত। বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার এই পদ্গুলোকে প্রকল্পের অস্থায়ী পদে রেখেছিল। অন্তবর্তী সরকার এই পদ্গুলোকে স্থায়ী সৃজন করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং সেটি করে। আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

আয়-ব্যয়ন ক্ষমতা পরিচালকদের হাতে ন্যস্ত করায় চরম বৈষম্য উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আঞ্চলিক উপ-পরিচালকগণ (মাধ্যমিক) ও বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস)। তারা গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শিক্ষা সচিব বরাবর দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষাক্ষেত্রে মাধ্যমিক স্তর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তর। বর্তমানে সারাদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা স্তরের ২৪,৩৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২০,৪৬৫ টি। একারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন আঞ্চলিক উপপরিচালকের কার্যালয় দেশের শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আঞ্চলিক উপপরিচালক পদটি সৃষ্টি থেকেই উক্ত কার্যালয়ের প্রধান আয়ন-বায়ন কর্মকর্তা হিসেবে চলমান আছে। বৃটিশ আমল থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিস হিসেবে ও প্রতিনিধিত্বকারী অধীনস্ত অফিস হিসেবে আঞ্চলিক উপপরিচালকের কার্যালয় সুপ্রতিষ্ঠিত। যে অফিসের আয়ন-বায়ন কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন আঞ্চলিক উপপরিচালক। ২০১৬ সালে সেসিপের অধীনে সৃজিত পদে পরিচালক, উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক পদ সৃষ্টি করে কলেজ থেকে ডেপুটেশনে পদায়ন এবং একটি সহকারী পরিচালক পদে সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পদায়ন করা হয়। গত ২০১৯ সালে কলেজ স্তরের এমপিও- র কাজ করার জন্য তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই থেকে অঞ্চলে আলাদাভাবে দুটি অফিস চালু আছে। যথাঃ (১) পরিচালক (সেসিপ) তার জনবল নিয়ে কলেজ স্তরের কাজ এবং (২) আঞ্চলিক উপপরিচালক তার জনবল নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে মাধ্যমিক স্তরের কাজ করছেন। এমতাবস্থায় দুটি স্বতন্ত্র অফিসের ডিডিও একজনের কাছে হস্তান্তর সরকারের বিকেন্দ্রীকরণ নীতির পরিপন্থী। ৬। গত ২৬ জুন ২০২৩ তারিখের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পত্রের মাধ্যমে সেসিপের তিনটি পদ রেভিনিউতে নিয়ে কলেজ থেকে তিনজনকে পদায়ন করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতিক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ও জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমী (নায়েম) এর শিক্ষা কাঠামোতে যে নতুন পদ সৃজন করা হয়েছে তা বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার হতে নিয়োগযোগ্য এবং এতে বিসিএস নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮১ এর বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) বিধিমালা সংশোধনের শর্তারোপ করা হয়েছে। কিন্তু পদটি এখন পর্যন্ত বিসিএস নিয়োগ বিধিমালা, ১৯৮১ এর বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) বিধিমালাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পদ সৃজনের শর্ত পূরণ না করে বিধি বহির্ভূত পদে পদায়নকৃত পরিচালকে স্বতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান উপপরিচালক (মাধ্যমিক) কার্যালয়ের আয়ন-ব্যয়ন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের দীর্ঘদিনের কাজের রীতি, শিক্ষক কর্মকর্তাগণের চাওয়া ও আকাঙ্খা থেকে বঞ্চিত হলে তারা মনোবলহারা হয়ে কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন না। বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চাকুরী জাতীয়করনের আবেদন করে আন্দোলন করছেন তাদের মধ্যেও ব্যপক ক্ষোভের সৃষ্টি করবে ও মাধ্যমিক শিক্ষা খাতে স্থবিরতা নেমে আসবে।

সংগঠনটি জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তার দায়িত্ব হস্তান্তরের সিদ্ধান্তকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। এই সময় তারা তিন দফা দাবি জানান। ১.আঞ্চলিক অফিসে কলেজের কাজের জন্য সৃষ্ট পরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ পৃথকভাবে কলেজের ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাজ করবেন এবং মাধ্যমিকের উপপরিচালক পূর্বের মতো মাধ্যমিক স্তরের কাজগুলো করবেন। ২. মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পর্যায়ে কলেজ (কলেজ ও উচ্চ শিক্ষা) ও বিদ্যালয় (মাধ্যমিক শিক্ষা) উভয় ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন অফিস প্রধান থাকবেন । ৩. পরিচালক (কলেজ) এবং উপপরিচালক (মাধ্যমিক) পৃথক অফিস কোড ও ডিডিও আইডি নিয়ে কাজ করবেন।

তারা জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পর্যায়ে কলেজ (কলেজ ও উচ্চ শিক্ষা) ও বিদ্যালয় (মাধ্যমিক শিক্ষা ) পৃথকীকরণ হবে, আঞ্চলিক অফিস শক্তিশালী হবে এবং শিক্ষা সংক্রান্ত সকল সেবা প্রদান আরও গতিশীল হবে।



মাধ্যমিক শিক্ষার প্রশাসনিক প্রধান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিকের পরিচালক প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল। তিনি একই সাথে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অর্থ্যাৎ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের নেতা। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান শিক্ষাবার্তা’কে বলেন, অফিস ম্যানেজমেন্টে শিক্ষার বিকেন্দ্রীকরণকৃত আঞ্চলিক পরিচালকগণ শীর্ষ পদাধিকারী। উনারা এখন রাজস্ব খাতের নিয়মিত কর্মকর্তা। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা উভয়ক্ষেত্রে তাদের কর্মপরিধি বিস্তৃত। সেক্ষেত্রে সরকারের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Google News

প্রতিদিন ইসলাম অনলাইনের খবর পেতে
Google News ক্লিক করুন।

আরও খবর

Sponsered content

Subscribe করুন

সাবস্ক্রাইব না করলে নিউজ পড়তে পারবেন না।