জাতীয়

এখনো প্রাথমিকের যে সকল শিক্ষকরা বেতন বন্ধ

  প্রতিনিধি ২৪ আগস্ট ২০২৫ , ৩:০৯:৪২                        

ইসলাম ডেস্ক: দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজের এমপিওভুক্ত প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী দীর্ঘ এক বছর ধরে বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। নানা জটিলতা ও প্রশাসনিক ত্রুটির কারণে তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে বেতন না পাওয়ায় এসব শিক্ষক-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে পরিবার নিয়ে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন।

আরো পড়ুন:

বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণ ‘নতুন বছরে’

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলের প্রোগ্রামার মো. জহির উদ্দিন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বার বার তাগাদা দেওয়ার পরও শিক্ষক-কর্মচারীরা তথ্য হালনাগাদ করেননি। যার কারণে এখনো অনেক শিক্ষক ইএফটিতে বেতন ভাতা পাননি। তথ্য সংশোধন না করা পর্যন্ত তারা বেতন-ভাতা পাবেন না।’

জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হত।

এই অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হত। ব্যাংকগুলো মাধ্যমে বেতন-ভাতা ছাড়ের জন্য কয়েক পর্যায়ে অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অনেক ক্ষেত্রেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পেতে দেরি হয়। অনেক সময় পরের মাসের ১০ তারিখের পরও আগের মাসের বেতন-ভাতা জোটে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কয়েকটি ধাপে স্কুল-কলেজের ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা দেওয়া হলেও এখনো এ প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারেননি প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী।

ইএমআইএস সেল জানিয়েছে, একই শিক্ষক বা কর্মচারীর নাম দুই প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত থাকার ঘটনা ধরা পড়েছে। এর ফলে ওই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে।

ব্যাংক হিসাব নম্বরের ভুল থাকায় বেতন-ভাতা অনেকের হিসাবে জমা হচ্ছে না। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য হালনাগাদ না হওয়ায় বা হিসাব নম্বরের সঙ্গে এমপিও শিটের তথ্য না মেলায় বেতন বন্ধ হয়ে গেছে।

সূত্র বলছে, জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) দেওয়া নাম ও এমপিও শিটে থাকা নামের অমিল পাওয়া গেছে। কারও ক্ষেত্রে এনআইডিতে পূর্ণ নাম লেখা আছে, কিন্তু এমপিও শিটে সংক্ষিপ্ত নাম বা ভিন্ন বানান ব্যবহার হয়েছে।

এর ফলে বেতন প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। এছাড়া জাতীয়করণ হওয়া কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিও তালিকায় থাকলেও জাতীয়করণের পর আর এমপিওভুক্ত হিসেবে বেতন পাচ্ছেন না।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে ইএমআইএস সেলের এক কর্মকর্তা জানান, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ভুল দেওয়া শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা বেশি। এছাড়া নামের ভুলের পরিমাণও বেশি। এই দুই বিষয় ছাড়া ডাবল এমপিও এবং জাতীয়করণের কারণে অনেকে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।

সাংবাদিক নিয়োগ

বিশ্বব্যাপী শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিক নিয়োগ

দেশের সকল জেলা–উপজেলা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে
শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়া হবে।

  • 📌 বিঃদঃ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অগ্রাধিকার
  • 🌍 দেশের ভেতরে–বাইরে উভয় স্থানেই আবেদন করা যাবে
  • 📝 নীতিমালা মেনে যাচাই–বাছাই সাপেক্ষে চূড়ান্ত নিয়োগ

বিষয়গুলো শিক্ষক-কর্মচারীদেরই সংশোধন করতে হবে। এটি সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত তাদের বেতন ইএফটিতে দেওয়া সম্ভব হবে না।

Google News

প্রতিদিন ইসলাম অনলাইনের খবর পেতে
Google News ক্লিক করুন।

আরও খবর

Sponsered content

🌟 Subscribe করুন 🌟

সাবস্ক্রাইব না করলে নিউজ পড়তে পারবেন না 📢


সাংবাদিক নিয়োগ

বিশ্বব্যাপী শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিক নিয়োগ

দেশের সকল জেলা–উপজেলা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়া হবে।