প্রতিনিধি ২৮ আগস্ট ২০২৫ , ৩:০৬:৪৩
✍️ সম্পাদকীয় কলাম
এম এ সাইদ তন্ময়ঃ বাংলার রাজনৈতিক বাস্তবতা আজ যেন কুইনিনের মতো—জ্বর সারায়, কিন্তু নিজের রোগ সারাতে পারে না। এক ফ্যাসিস্টের পতনে আমরা ভেবেছিলাম মুক্তি মিলবে, অথচ সেই পতনের ভেতর থেকেই জন্ম নিয়েছে নতুন ফ্যাসিবাদ।
আরো পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়ে ‘জরুরি’ নির্দেশ
আমার সোনার বাংলা এক অদৃশ্য চক্রে বন্দী। গণতন্ত্রের ভোরের প্রতিশ্রুতি বারবার ভেসে যায় নতুন মুখোশধারী স্বৈরশাসকের পদধ্বনিতে। শাসক বদলায়, কিন্তু শোষণের রঙ বদলায় না। এক ফ্যাসিস্টের লাঠি নামতেই আরেক ফ্যাসিস্টের চাবুক উঠে যায়।
দেশের সকল জেলা–উপজেলা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
ইমেইল ঠিকানা:
এ যেন জাতির সঙ্গে এক দীর্ঘ প্রতারণা। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় পরে আমরা এখনও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ব্যর্থ। দলবাজি, দুর্নীতি আর দমন-পীড়ন রাজনীতির একমাত্র হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। রাষ্ট্র আজ মুক্তির নয়, বরং নিপীড়নের যন্ত্র।
তাহলে প্রশ্ন—আমরা কি শুধু মুখ বদলের অপেক্ষায় থাকব? নাকি জনগণ নিজেরাই উঠবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে?
সত্যিটা পরিষ্কার: কুইনিন জ্বর সারালেও কুইনিনকে সারাতে চাই নতুন ওষুধ। তেমনি ফ্যাসিবাদের চক্র ভাঙতে চাই ঐক্যবদ্ধ জনগণ, নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি আর ন্যায়ভিত্তিক গণতন্ত্র।
ইতিহাস সাক্ষী—এই জাতি রক্ত দিয়ে বারবার মুক্তি এনেছে। এবারও যদি জনগণ জেগে ওঠে, তবে এই ফ্যাসিবাদী চক্র ভাঙবেই। নইলে এক ফ্যাসিস্টের পতনে আরেক ফ্যাসিস্টের উত্থান—এই অভিশপ্ত খেলা চলতেই থাকবে।
সাবস্ক্রাইব না করলে নিউজ পড়তে পারবেন না 📢