প্রতিনিধি ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২:৫২:৩৩
ইসলাম ডেস্ক; মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন আজ শনিবার। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে (আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ) তার জন্ম হয়। মানব জাতির ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথ দেখিয়ে ৬৩ বছর বয়সে একই তারিখে তিনি পৃথিবী ছেড়ে যান।
দেশের সকল জেলা–উপজেলা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
ইমেইল ঠিকানা:
আরব দুনিয়া যখন আইয়ামে জাহেলিয়াত বা পাপাচারের অন্ধকারে ডুবে ছিল, তখন আলোকবর্তিকা হয়ে জন্ম হয় আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর। মক্কার কোরাইশ গোত্রের সাধারণ পরিবারে তার জন্ম। অল্প বয়সেই তিনি সত্যবাদিতা ও সততার প্রতীক হয়ে ওঠেন। শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত হন। ক্ষমাশীলতা, দানশীলতা ও সহিষ্ণুতায় তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানবে পরিণত হন। তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। ২৩ বছর ইসলামের বার্তা প্রচার করেন। শুধু আধ্যাত্মিক শিক্ষা নয়, মদিনায় কল্যাণ রাষ্ট্রও প্রতিষ্ঠা করেন।
আরো পড়ুন:
👉 “নুরাল পাগলার কবর অবমাননায় কড়া বার্তা অন্তর্বর্তী সরকারের—‘কোনো ব্যক্তি জবাবদিহির ঊর্ধ্বে নয়’”
সারা বিশ্বের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মতো বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এবং সিরাতুন্নবী (সা.) নামে পালন করেন। নফল নামাজ আদায় ও রোজা রাখেন অনেকে। এ ছাড়া কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ১৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসহ সারা দেশে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আজ সকাল থেকে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। রাজধানীর প্রধান সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় জাতীয় পতাকা এবং কালেমা তাইয়্যেবা লেখা ব্যানার ও পতাকা দিয়ে সাজানো হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কিরাত ও নাত প্রতিযোগিতা, কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক আসর, আরবি খুতবা রচনা প্রতিযোগিতা, সেমিনার আয়োজন এবং বিশেষ স্মারক প্রকাশ। এ ছাড়া ১২ রবিউল আউয়াল থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ প্রাঙ্গণে দুই সপ্তাহব্যাপী ইসলামী বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে, আর পত্রপত্রিকা প্রকাশ করবে বিশেষ ক্রোড়পত্র।
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় সংগঠন, ওয়াকফ প্রশাসক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং হজ অফিসগুলো আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, নাত পাঠ এবং কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। এসব কর্মসূচিতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষা এবং ইসলামের শান্তি, অগ্রগতি, সহনশীলতা, ভ্রাতৃত্ব, মানবাধিকার ও নারীর মর্যাদার বার্তা তুলে ধরা হবে। শিশুদের জন্য বাংলাদেশ শিশু একাডেমি নাত পাঠ, প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করবে।
এ উপলক্ষে দেশের সব সামরিক ও বেসামরিক হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানা, শিশু নিবাস ও বৃদ্ধাশ্রমে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোও যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিনটি পালন করবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ আজকের এ দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে ‘মহানবী (স.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমার প্রতিফলন ঘটাতে পারি।’ দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সাবস্ক্রাইব না করলে নিউজ পড়তে পারবেন না 📢