প্রতিনিধি ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৬:০০:৫৪
ইসলাম ডেস্ক: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন ১৮তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও সুপারিশবঞ্চিতরা। অন্যদিকে দ্রুত ১৯তম শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বয়স শেষ হতে যাওয়া নিবন্ধনধারীরা। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে আগে কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
আরো পড়ুন:
দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য জরুরি নির্দেশ দিলেন মাউশি
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে বর্তমানে বেসরকারি স্কুল-কলেজ, কারিগরি ও মাদ্রাসায় অর্ধ লাখের বেশি পদ ফাঁকা রয়েছে। এই পদগুলো বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পূরণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন ১৮তম নিবন্ধনধারীরা। অন্যদিকে নতুন করে শিক্ষক হতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা ১৯তম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ঘোষণার অপেক্ষায় আছেন।
দেশের সকল জেলা–উপজেলা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
ইমেইল ঠিকানা:
১৮তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মোকছেদুর রহমান নামে এক প্রার্থী বলেন, ‘পদ শূন্য থাকার পরও আমাদের নিয়োগ হয়নি। আমরা প্রিলি, রিটেন ও ভাইভায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আগে আমাদের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে যদি আবার নতুন নিয়োগ শুরু হয়, তাহলে আমাদের আশা ভঙ্গ হবে।’
তবে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রয়োজন নেই জানিয়ে রাশেদ মোশাররফ নামে আরেক প্রার্থী বলেন, ‘৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে যারা সুপারিশ পায়নি, তারা বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতেও সুপারিশ পাবেন না। কেননা তাদের ওই বিষয়গুলোতে পদই ফাঁকা নেই। বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে কেবল সময় এবং অর্থ নষ্ট হবে। কাজেই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রয়োজনীয় এখন নেই।
এদিকে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি নাকি ১৯তম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কোনটি আগে প্রকাশ করা হবে এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছেও। তবে এ বিষয়ে তারাও স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত কয়েকদিন ধরে প্রার্থীরা আবেদন করছেন। তবে বিষয়টি আসলে আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’ ১৯তম নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিধিমালা সংশোধন হয়ে পরিপত্র প্রকাশ হলেও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘নীতিগতভাবে ১৯তম শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কাজ করছে এনটিআরসিএ। নতুন নিয়োগ বিধিমালায় কিছু সংশোধনী আসছে। সেজন্য পরিপত্র জারি করতে কিছুটা সময় লাগছে। আর মন্ত্রণালয় স্বপ্রণোদিত হয়ে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশনা বা সম্মতি দিতে পারে না। এনটিআরসিএ আমাদের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করলে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। কোন বিজ্ঞপ্তি আগে হবে সেটি বলা মুশকিল।