প্রতিনিধি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৫:১৪:৪৩
ইসলাম ডেস্ক: এবার অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক-সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের কর্তৃত্ব হারাল ম্যানেজিং কমিটি। এখন থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগ আর ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে হবে না। সরকার নিয়োগ দেবে। তবে কোন সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হবে সেটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
আরো পড়ুন:
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা বলেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম।
কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। এ সময় উপস্থাপক ছিলেন, এনটিআরসিএ সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) এরাদুল হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনটিআরসিএ’র সদস্য (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) নূরে আলম সিদ্দীকি। সঞ্চালনায় ছিলেন এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক।
প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগের জন্য সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে। কমিটিতে তিন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএর প্রতিনিধি রয়েছে। এ কমিটি শিগগিরই সভা করে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ নীতিমালা তৈরি করবে।’
মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এনটিআরসিএ নাকি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান নিয়োগ হবে সেটি এই মুহূর্তে বলা কঠিন। বিষয়টি কমিটি চূড়ান্ত করবে। তবে এতটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি, ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে আর প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করি। তবে অনেক প্রধান শিক্ষক ভুল তথ্য দেন। এতে করে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী নানা বিড়ম্বনার শিকার হন। এজন্য এখন থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে না। এখন থেকে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কাছে শূন্য পদের তথ্য চাওয়া হবে।’
মো. আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়ে আমরা একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেখানে মাদ্রাসার ক্ষেত্রে ১৪০ নম্বর সাবজেক্টিভ এবং ৬০ নম্বর জেনারেল (বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান) বিষয়ে পরীক্ষা হবে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে প্রার্থীকে ৮০ নম্বর পেতে হবে। সাবজেক্টিভ এবং জেনারেলে আলাদা আলাদা ৪০ পেলে হবে না। দুটো মিলিয়ে তাকে ৮০ নম্বর পেতে হবে।