ইসলাম ডেস্ক: দেশ জুড়ে আজ এক ভয়াবহ নীরবতা—ক্লাসরুমে নেই পাঠদান, মাঠে নেই শিশুদের কোলাহল। কারণ? এই রাষ্ট্রের অবহেলা, এই সরকারের হৃদয়হীন নিষ্ঠুরতা! এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা আজ রাস্তায়, তাদের হাতে বই নয়—ব্যানার! তাদের কণ্ঠে কবিতা নয়—হাহাকার!

আরো পড়ুন;

📰 শিক্ষকের গায়ে রক্ত কেন প্রধান উপদেষ্টা জবাব চাই!

প্রিন্সিপাল দেলোয়ার হোসেন আজিজি স্যারের নেতৃত্বে ঘোষিত আন্দোলন এখন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। দাবি একটাই—২০% বাড়ি ভাতা, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং ৭৫% উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে জারি করতে হবে। কিন্তু সরকার? নীরব! যেন এ দেশের শিক্ষকরা বাতাসের মানুষ—তাদের ক্ষুধা, কষ্ট, মর্যাদা কিছুই সরকারের কানে পৌঁছায় না।

আজ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধসের মুখে, কারণ সরকার নিজেই এই ধসের স্থপতি।
শিক্ষকদের মুখে আজ বিদ্রোহের শপথ—“প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই!”
এ শুধু আন্দোলন নয়—এ এক নৈতিক যুদ্ধ, যেখানে শিক্ষকরা ন্যায়ের পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন অমানবিক অবহেলার বিরুদ্ধে।

সরকারের মন্ত্রীরা কোটি কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে বক্তৃতা দেন—‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড’। কিন্তু সেই মেরুদণ্ড আজ ক্ষয়ে গেছে সরকারের স্বার্থান্ধ অবহেলায়। প্রশ্ন করি—যে সরকার শিক্ষকদের ক্ষুধা, অপমান, মর্যাদাহানি দেখতে পারে, তারা কিভাবে জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার কথা বলে?

এই মুহূর্তে সরকার যদি না জেগে ওঠে, তবে শিক্ষা নামের এই অমূল্য সম্পদ একদিন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি অবহেলা মানে গোটা জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া।

🔥 আমাদের আহ্বান স্পষ্ট:
এই প্রজ্ঞাপন এখনই জারি করতে হবে।
না হলে এই আগুন থামবে না—এ আগুন ছড়িয়ে পড়বে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, প্রতিটি মঞ্চে, প্রতিটি বিবেকে!

সরকার শুনে রাখুক—
শিক্ষক সমাজ আর নীরব থাকবে না।

এম এ সাইদ (তন্ময়)
সম্পাদক
প্রতিদিন ইসলাম