প্রতিনিধি ১৯ নভেম্বর ২০২৫ , ১:২৩:১৬
ইসলাম ডেস্ক: চলতি বছরের ২৭ জুলাই সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়ন করতে পে কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশন গঠনের পর অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ঘোষণা দিয়েছিলেন, এই সরকারের মেয়াদেই কার্যকর হবে নতুন পে স্কেল।
আরো পড়ুন:
মোবাইল বিক্রির দোকান মালিকদের জন্য বিশাল দু:সংবাদ
তবে সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে তিনি জানান, আগামী নির্বাচিত সরকারই পে কমিশন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তার এই বক্তব্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে।
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির গণমাধ্যমে বলেন, ‘যেহেতু এই অন্তর্বর্তী সরকারই পে কমিশন গঠন করেছে, তাই নতুন পে-স্কেলও এই সরকারকেই দিতে হবে।’ তিনি জানিয়েছেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই পে কমিশনের সুপারিশ জমা দিতে হবে, না হলে কমিশনের ওপর চাপ বাড়ানো হবে। এর বাইরে বৃহত্তর কর্মসূচিরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
গত ১৪ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সমাবেশ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। সমাবেশ থেকে নেতারা ঘোষণা দেন—১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন পে স্কেলের গেজেট প্রকাশ করতে হবে এবং ১ জানুয়ারি থেকে নবম পে স্কেল কার্যকর করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এদিকে সরকারি চাকরিজীবীদের বিভিন্ন সংগঠনকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে গণমাধ্যমে জানান বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি খায়ের আহমেদ মজুমদার। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের ছয়টি সংগঠন, ১১–২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম, কর্মচারী উন্নয়ন ফোরাম, দপ্তরি-কাম-প্রহরী সংগঠন, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতি, রেলওয়ে এমপ্লয়িজ লীগসহ ১২টি সংগঠন যৌথ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েছে। সরকারি গাড়িচালকদের কেন্দ্রীয় সংগঠনও আন্দোলনে একাত্মতা জানিয়েছে।
আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পে স্কেল কার্যকরের গেজেট না হলে কর্মবিরতির মতো কর্মসূচিতে যাবেন কর্মচারীরা, এমন ইঙ্গিত দিয়ে এই কর্মচারী নেতা গণমাধ্যমে বলেন, আমরা বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমাদের দেয়া সময়সীমার মধ্যে যদি দাবি মানা না হয় তাহলে দাবি আদায়ে যেকোনো কর্মসূচি দিয়ে পিছপা হবো না।
ফেডারেশনের মুখপাত্র আব্দুল মালেক বলেন, কর্মচারীরা যেকোনোভাবেই হোক ডিসেম্বরের মধ্যেই নতুন পে স্কেলের গেজেট দেখতে চান। ‘একটা আস্থার জায়গা প্রয়োজন,’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার চাইলে ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে বেতন কাঠামো কার্যকর করে আগামী অর্থবছরে এরিয়ার টাকা পরিশোধ করতে পারে। তবে নতুন পে স্কেল অবশ্যই দিতে হবে।
১১–২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমে জানান, দাবি আদায়ে কর্মচারী সংগঠনগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক চলছে। সময়সীমার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ, ঢাকায় মহাসমাবেশ, অবস্থান কর্মসূচি এবং কর্মবিরতির মতো কর্মসূচি আসতে পারে।

















