প্রতিনিধি ২৬ নভেম্বর ২০২৫ , ৯:৩০:৪৫
ইসলাম ডেস্ক: শিক্ষাব্যবস্থার নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে ক্লাসরুমের বাইরে দ্রুত বর্ধনশীল শিক্ষা কার্যক্রম— বিশেষ করে প্রাইভেট টিউশন, কোচিং সেন্টার ও গাইড বই নির্ভরতার বিষয়ে কঠোর নজরদারির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন অধ্যাপক সি আর আবরার। বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মিলনায়তনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনীমূলক মূল্যায়ন পদ্ধতি সেমিনারে এ কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা।
আরো পড়ুন:
“কোটা ব্যবস্থা ও আরও বেশ কিছু সংশোধন যুক্ত করে স্কুলভর্তির হালনাগাদ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টারের সংখ্যা বাড়ছে, সঙ্গে এদের প্রতি শিক্ষার্থীদের ঝোঁকও বাড়ছে। কেন এ চাহিদা তৈরি হচ্ছে, কেন শিক্ষার্থীরা এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে—তা খুঁজে বের করতে হবে। শুধু কোচিং সেন্টার বন্ধ করলেই সমস্যার সমাধান হবে কিনা, সেটাও বিবেচনায় রাখতে হবে। এখানে রাষ্ট্রের করণীয় কী, তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে।
সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমাদের শিক্ষায় অনেক দুর্বলতা রয়েছে। আমরা হয়তো দায়িত্বে থাকব না কিন্তু কিছু জিনিস আমরা হয়তো দিয়ে যেতে পারছি; যেগুলো পরবর্তীতে যারা দায়িত্ব নেবে তারা এগুলো করবেন।
‘শিক্ষা ব্যবস্থাকে পেছনে ফেলে দেয়ার বড় ধরনের পরিকল্পনা ছিল এর চূড়ান্ত উদাহরণ আমাদের এসএসসি-এইচএসসির রেজাল্ট সেটার যে একটা বিশাল সমারোহ সেটার মধ্যে আমরা দেখেছি। সব ছাত্ররাই লিখে নম্বর পাবেন এটা না হয়ে রাষ্ট্র তাদের নম্বর উপহার দেবে এটা একেবারেই খারাপ বিষয় ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি এটা বাদ দেয়ার এবং আমার মনে হয় সেটা থেকে শিক্ষার্থী অভিভাবকেরা ও ছাত্ররা উপকৃত হয়েছি। নিজেদের সাকসেস প্রক্রিয়াকরণ আমাদের নিজেদেরই করতে হবে। সেই সফলতা কীসের ভিত্তিতে হবে সেটা না জানলে আমরা এগুতে পারব না’— যোগ করেন উপদেষ্টা।
দেশের সকল জেলা–উপজেলা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
ইমেইল ঠিকানা:

















