প্রতিনিধি ২৮ জুলাই ২০২৫ , ১:৫১:৫১
ইসলাম ডেস্ক: যুদ্ধের সময়ও আহতদের চিকিৎসা বন্ধ হয় না—এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতি। অথচ বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লবের দিনে সেই মানবিক নীতির নগ্ন বিসর্জন আমরা দেখেছি,”—এভাবেই কঠোর ভাষায় ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্মমতা তুলে ধরেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আরো পড়ুন:
শনিবার স্কুল খোলা রাখা নিয়ে জরুরি যা বলছে মাউশি
সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর শাহবাগের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে ‘জুলাই স্মরণ’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। এদিন জুলাইয়ের রক্তাক্ত আন্দোলনের সময় আহতদের সেবা দেওয়া চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মান জানানো হয়।
ড. ইউনূস বলেন, “আন্দোলনের সময় আহতদের চিকিৎসা না দেওয়ার সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা ছিল। হাসপাতালগুলোতে নজরদারি, হুমকি, এমনকি চিকিৎসকদের উপর হামলা চালানো হয়। তারপরও কিছু সাহসী চিকিৎসক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারাই এই জুলাইয়ের আসল নায়ক, তারাই সাহস ও দায়িত্ববোধের প্রতিচ্ছবি।”
তিনি আরও বলেন, “শুধু রাস্তায় গুলি চালিয়ে ছাত্রদের রক্তাক্ত করেই ক্ষান্ত হয়নি সরকার, বরং নিশ্চিত করতে চেয়েছে—কোনো হাসপাতাল যেন আহতদের চিকিৎসা না দেয়। এ দেশের শত শত ছেলে-মেয়ে চিকিৎসা না পেয়ে চিরতরে অন্ধত্ব বরণ করেছে। চিকিৎসা কার্যক্রমে বাধা দিতে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সদের উপরও চলে নির্মম হুমকি-ধামকি।”
এই ভয়াবহ দমন-পীড়নের মধ্যেও যেসব চিকিৎসক রক্ত সংগ্রহ করেছেন, ওষুধ জোগাড় করেছেন, রোগীর পরিচয় গোপন রেখে চিকিৎসা দিয়েছেন—তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ড. ইউনূস বলেন, “আপনারা শুধু চিকিৎসা দেননি—আপনারা মানবিকতা ও দায়িত্ববোধের এক অনন্য ইতিহাস রচনা করেছেন। প্রাইভেট চিকিৎসকরা নিজ উদ্যোগে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, তা জাতি কখনো ভুলবে না।”
শেষে তিনি বলেন, “এই জুলাইয়ে আপনাদের সেবা আর আত্মত্যাগ যুদ্ধক্ষেত্রে আহতদের সেবার গল্পকেও হার মানিয়েছে। আপনাদের পরিবারও ছিল ঝুঁকির মধ্যে, তবু আপনারা থামেননি। আপনাদের কাছে জাতি ঋণী থাকবে চিরকাল।