অপরাধ

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই ব্যক্তির দুই পদে চাকরি বেতন ও দুই পদে !

  প্রতিনিধি ১ আগস্ট ২০২৫ , ১১:১২:২৫                        

ইসলাম ডেস্ক: ঠাকুরগাঁও টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ সাদেকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুটি পদে থেকে বছরের পর বছর লাখ লাখ টাকা বেতন ও ভাতা তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১১ বছর ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন দুর্নীতি চললেও কেউ যেন দেখেনি। সম্প্রতি প্রশাসনের নজরে এলে জেলা শিক্ষা বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে।
শিক্ষা সংবাদ (Education)

আরো পড়ুন:

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কমছে

আমাদের বার্তার অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে শহরের শান্তিনগরে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে এটি এমপিওভুক্ত হয়। সাদেকুল ইসলাম শুরু থেকে শিক্ষকতা করলেও এমপিওভুক্ত ছিলেন না।

শিক্ষার খবর সহ সকল প্রকার খবর সবার আগে জানতে
আমাদের পেইজে ফলো দিয়ে সাথেই থাকুন সারাক্ষণ

২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে স্ত্রী হত্যার মামলায় ফাঁসির আদেশ নিয়ে কারাভোগ করেন। খালাস পেয়ে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে আবার কলেজে যোগ দেন। পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে অদৃশ্য প্রভাবে অধ্যক্ষ হন।

অভিযোগ, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ২০১৫ থেকে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের জুন পর্যন্ত কম্পিউটার অপারেশন বিভাগের প্রভাষক পদ থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা তুলেছেন। এ ছাড়া, অধ্যক্ষ দাবি করে কলেজ ফান্ড থেকে মোটা অঙ্কের ভাতাও তুলেছেন তিনি।

কলেজের সভাপতি জেলা প্রশাসনের মনোনীত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। এত দুর্নীতি হলেও প্রশাসন নীরব থাকার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নজরে এলে গত ৭ জুলাই জেলা শিক্ষা অফিসার শাহীন আক্তারকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন সহকারী কমিশনার। ১৩ জুলাই সাদেকুলের কাছে অধ্যক্ষ পদের নিয়োগ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও কাগজপত্র তলব করা হয়।

সূত্র জানায়, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে সাদেকুল প্রভাষক পদে এমপিওভুক্ত হন। কিন্তু ১২ বছরের অভিজ্ঞতা ছাড়াই অধ্যক্ষ হন, যা প্রশ্নবিদ্ধ। এ ছাড়া কয়েক বছর আগে অফিস সহায়কসহ তিন পদে নিয়োগ বাণিজ্যে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, সাদেকুল প্রভাষক পদ ছেড়ে অধ্যক্ষ হন, কিন্তু তার যথাযথ অভিজ্ঞতা নেই।

সম্প্রতি বদলি হওয়া কলেজের সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জেসমিন নাহার বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে, তদন্ত চলছে।

সাদেকুল নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ দাবি করে বলেন, মানবিক কারণে প্রভাষকের বেতন তুলছেন এবং প্রয়োজনে টাকা ফেরত দেবেন।খবর সূত্র দৈনিক শিক্ষা

Google News

প্রতিদিন ইসলাম অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে
Google News ক্লিক করুন।

আরও খবর

Sponsered content