প্রতিনিধি ১১ আগস্ট ২০২৫ , ৭:৩৫:০৮
ইসলাম ডেস্ক: নতুন করে সীমান্তবর্তী সব স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে আরও কিছু পাটজাত পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। সোমবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
বিতর্কিত ৩ নির্বাচন আগের সব কর্মকর্তা বাদ দেওয়া কঠিন
নতুন করে নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় যোগ হয়েছে ব্লিচ ও আনব্লিচ বোনা পাট বা অন্যান্য উদ্ভিদজাত আঁশের কাপড়, পাটের সুতা, দড়ি ও রশি এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ। তবে ডিজিএফটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব পণ্য মহারাষ্ট্রের নাভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সীমান্তবর্তী কোনো স্থলবন্দর দিয়ে এসব পণ্যের আমদানি অনুমোদিত হবে না। বাংলাদেশ থেকে ভারতের কিছু পণ্যের আমদানি অবিলম্বে নিয়ন্ত্রিত করা হলো।
এর আগে চলতি বছরের ২৭ জুন ভারত বাংলাদেশ থেকে কিছু পাটজাত পণ্য ও বোনা কাপড়ের আমদানি সব স্থলপথে নিষিদ্ধ করেছিল। তখনও বলা হয়েছিল, এসব পণ্য কেবল নাভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়েই আনা যাবে।
প্রথম ধাপের নিষেধাজ্ঞায় ছিল পাটজাত পণ্য, ফ্ল্যাক্স টো ও বর্জ্য, পাট ও অন্যান্য আঁশজাত ফাইবার, একগুণ বা একাধিক গুণে মোড়ানো পাটের সুতা, বোনা কাপড় বা ফ্ল্যাক্স ও আনব্লিচ বোনা পাটের কাপড়।
এছাড়া চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসেও ভারত বাংলাদেশ থেকে আমদানিতে একই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। ১৭ মে ভারত বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের আমদানিতে বন্দর-সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। এর আগে ৯ এপ্রিল ভারত বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করত। তবে বাংলাদেশের এই সুবিধা শুধু নেপাল ও ভুটানের জন্য বহাল থাকে।
এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনুসের চীনে করা কিছু মন্তব্যের পর, যা নয়াদিল্লির কাছে নেতিবাচক মনে হয়। ভারতীয় রাজনৈতিক নেতারাও এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।
পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ ভারতের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দাঁড়িয়েছিল ১২৯০ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ভারতের রপ্তানি ছিল ১১৪৬ কোটি ডলার ও আমদানি ছিল ২ কোটি ডলার।
সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস