অপরাধ

আওয়ামী নষ্ট প্রশাসন বহাল

  প্রতিনিধি ২৪ আগস্ট ২০২৫ , ২:০৬:৫৮                        

ইসলাম ডেস্ক: ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী স্বৈরশাসনের বিদায়ের এক বছর পরও ফেরেনি বিশৃঙ্খল প্রশাসনের শৃঙ্খলা। অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, দায়িত্ব পালনে গাফিলতি যেন স্থায়ী সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।

কেন্দ্র থেকে শুরু করে মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে এমন চিত্র। অধিকাংশ অনিয়মের ক্ষেত্রে এক রকম নির্বিকার ছিলেন নীতিনির্ধারকরা-এমন মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে-গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট (চেতনা) ধারণ ও জনআকাঙ্ক্ষার প্রশাসন তৈরিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। প্রশাসনকে একটি প্রমিত কাঠামোতে আনার পরিবর্তে উলটো প্রশাসনকে লন্ডভন্ড করা হয়েছে। আওয়ামী আমলের নষ্ট-ভ্রষ্ট হওয়া প্রশাসন বহাল থাকার কারণেই মূলত এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ

শেখ হাসিনাকে ভারতের লোক আখ্যা দিলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন

তবে বিতর্কিত দুই নির্বাচনের দায়িত্বপালনকারী ৫১ ডিসিকে ওএসডি, গত সাড়ে ১৫ বছরে বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসন ক্যাডারের ৭৬৪ ও আদার্স ক্যাডারের ৭৮ জনের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি, সিনিয়র সচিব ও সচিব পদে ৪৫ জনের পদোন্নতি, সিনিয়র সচিব ও সচিব পর্যায়ের ২৫ জনকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে একজন যুগ্মসচিব ও একজন সহকারী কমিশনারকে চাকরিচ্যুত করা, কর্মচারীদের বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া, পে-কমিশন গঠন, সব ধরনের অনুদান ও ভাতা বাড়ানোসহ বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। এছাড়া গ্রেড-১ পদে ২৬ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ১৪৯, যুগ্মসচিব পদে ৪২৪ এবং উপসচিব পদে ১৪১ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ার ঘটনাও ছিল প্রশংসিত।

গত এক বছরে প্রশাসনের বিভিন্ন ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন, অধ্যাদেশ প্রণয়ন, ভূতাপেক্ষ পদোন্নতিসহ নানা পদক্ষেপে বছরজুড়েই ছিল সমালোচনার ঝড়। এর মধ্যে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ছিল। এ ব্যাপারে অভিযোগ উঠেছিল খোদ জনপ্রশাসন সচিবের বিরুদ্ধেও। যদিও এই বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়নি বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। তবে তদন্ত প্রতিবেদন অদ্যাবধি প্রকাশ করা হয়নি।

শুধু তাই নয়, প্রায় ১৬ বছর পর ঢাকঢোল পিটিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সম্পদ বিবরণী নেওয়া হলেও তা যাছাই হয়নি। পদোন্নতি ও পদায়নসংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি করে প্রশাসনের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে। এমনকি প্রশাসন ও (প্রশাসন ছাড়া অন্য ২৫ ক্যাডার) আদার্স ক্যাডার কর্মকর্তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে।

প্রশাসন ক্যাডারের যেসব কর্মকর্তা বঞ্চিত হয়ে অবসরে গেছেন তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হলেও তা নিয়ে কমিটির বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ উঠেছে। ওই কমিটির বিরুদ্ধে আদার্স ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিয়ে কালক্ষেপণ এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সাবেক সচিব, অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি এবিএম আব্দুস সাত্তার যুগান্তরকে বলেন, এ সময় প্রশাসনে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা বেড়েছে। চালকের আসনে বসা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, সীমাহীন লোভ এবং দুর্বল নেতৃত্বের কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে। আগের চেয়ে দুর্নীতি বহুলাংশে বেড়ে গেছে। প্রশাসন পরিচালনায় অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়নি। বিএনপিপন্থি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রতিপক্ষ হিসাবে নেওয়া হয়েছে। এমনকি প্রশাসনে বহিরাগতরা গিয়ে খবরদারি করেছে। কিন্তু বিএনপিপন্থিদের কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের ‘টপ টু বটম’ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। ঘুস, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা অতীতের চেয়ে বেড়েছে। চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে। আমরা বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।

সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান যুগান্তরকে বলেন, গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রশাসনে স্থিতিশীলতা আসেনি। আমার মতে প্রশাসন, পুলিশ এবং বিচারালয়ে সরকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। সব জায়গায় এক ধরনের ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া যুগান্তরকে বলেন-জনপ্রত্যাশা ছিল বিগত ফ্যাসিবাদের সময়ে প্রশাসনকে যেভাবে নষ্ট-ভ্রষ্ট করা হয়েছে, সেখান থেকে পুনরুদ্ধার করা। কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি। উলটো পুরো প্রশাসনকে আস্থাহীনতার অতল গহবরে নিমজ্জিত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অধিকাংশ পদক্ষেপ নিয়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এর কারণ হলো-নেতৃত্বের অদক্ষতা, সিদ্ধান্তের দুর্বলতা। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের এমন ভঙ্গুর অবস্থা বিগত ৫৩ বছরে আর দেখা যায়নি। এ অবস্থা থেকে প্রশাসন আগামী এক দশকেও স্বাভাবিক হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এটা জাতির জন্য চরম হতাশার বিষয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের বিগত এক বছরে প্রশাসনে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ৫ আগস্টের পর প্রশাসনে চরদখলের মতো চেয়ার দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে বিভিন্ন স্তরের আমলারা। বিগত সরকারের সময় পদোন্নতিবঞ্চিত হয়ে অনসার্ভিসে থাকা কর্মকর্তারা এক মাসের মধ্যে তিন ধাপে পদোন্নতি পেয়েছেন। ফ্যাসিবাদের সহযোগী ডিসিদের প্রত্যাহার করে নতুন ডিসি নিয়োগ দিতে গিয়ে ঘটে লঙ্কাকান্ড। ডিসি নিয়োগ নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের একাধিক কর্মকর্তা হাতাহাতি, ধ্বস্তাধ্বস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। জনপ্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে এক ঘণ্টা ওয়াশরুমে আটকে রাখেন ডিসি নিয়োগে বঞ্চিতরা।

আন্তঃক্যাডার দ্বন্দ্ব : গত বছর জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময়কালে একজন সংবাদকর্মীর করা প্রশ্নের জবাব জানানো হয়, এখন থেকে উপসচিব, যুগ্মসচিব এবং অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি হবে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। প্রশাসনসহ ২৬টি ক্যাডার কর্মকর্তারা এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন। লিখিত পরীক্ষা নেবে সরকারি কর্মকমিশন। যে লিখিত পরীক্ষায় ভালো করবেন তিনি পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন। এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসন ক্যাডারের নবীন কর্মকর্তা ফুঁসে ওঠেন। সহস্রাধিক কর্মকর্তা শোডাউন করেন সচিবালয়ে। তারা পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতির তীব্র বিরোধিতা করেন। প্রশাসন ক্যাডারের শিডিউল পদে অন্য ক্যাডারের প্রবেশ বন্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করা হয়।

এরপর অন্য ক্যাডারের ওপর প্রশাসন ক্যাডারের খরবদারি প্রতিহত করার ঘোষণা দেন ২৫ ক্যাডার কর্মকর্তারা। প্রশাসন ক্যাডার বিয়াম মিলনায়তনে এবং আদার্স ক্যাডার রাজধানীর কৃষিবিদ মিলনায়তনে মহাসমাবেশ করে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন। ফলে দেশের প্রশাসন ও আদার্স ক্যাডার সার্ভিসের মর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। দেশবাসী অবাক বিস্ময়ে তাদের বাগযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছে। এ সময় ফেসবুকে এক ক্যাডার অন্য ক্যাডারের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে প্রশাসন ক্যাডারের একজনসহ অন্য ক্যাডারের ১২ জন কর্মকর্তা বরখাস্ত হয়েছেন।

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ ও বিধিমালা নিয়ে আন্দোলন : গত মার্চ মাসে হঠাৎ করে সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের কাজে হাত দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই বিধিমালা প্রণয়ন করে ইউএনও অফিসের কর্মচারীদের সচিবালয়ে পোস্টিং দেওয়া হবে। আবার সচিবালয়ের কর্মচারীদের ইউএনও অফিসে পদায়ন করা যাবে। বিষয়টি জানাজানি হলে ফুঁসে ওঠে কর্মচারীরা। একসঙ্গে সচিবালয়ের সব কর্মচারী আন্দোলনের ডাকা দেন। স্থবির হয়ে পড়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম। কর্মচারীদের প্রবল আপত্তির চাপে শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার।

এর কয়েকদিন পর ২০১৮ প্রণীত সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে ১৯৭৯ সালের সরকারি চাকরি (বিশেষ বিধানের) কিছু ধারা সংযোজনের উদ্যোগ নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ৭ দিনের তদন্তে বিনা নোটিশে চাকরি থেকে বরখাস্তের বিধান এবং চাকরিচ্যুতির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের ব্যবস্থা না থাকায় কর্মচারীরা আইন সংশোধনের বিরোধিতা করেন। তাদের প্রতিবাদ আমলে না নিয়ে সরকার সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করে। এতে সচিবালয়ের দাপ্তরিক কাজ ত্যাগ করে কয়েক হাজার কর্মচারী এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলে। বিষয়টি নিয়ে সচিবালয়ের ভেতরে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে মাইক ব্যবহার করে শত শত নন-ক্যাডার কর্মচারী মিছিল সমাবেশ করেছেন। স্থবির হয়ে পড়ে সামগ্রিক কার্যক্রম, গত ৫৪ বছরে সচিবালয়ে এমন ঘটনা আর ঘটেনি। শেষ পর্যন্ত অধ্যাদেশ সংশোধন করে অভিযোগ তদন্ত আপিল ও মহিলা কর্মচারীর অধিকার রক্ষায় তদন্ত কমিটিতে একজন মহিলা কর্মকর্তা রাখার বিধান যুক্ত করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ডিসেম্বর মাসে প্রায় ১৬ বছর পর ঢাকঢোল পিটিয়ে সরকারি কর্মচারীদের কাছ থেকে সম্পদ বিবরণী নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী সরকারের সময় উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা সীমাহীন লুটপাট করেছেন। তাদের অনেকেই হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। এসব রাগববোয়ালদের সম্পদ বিবরণী যাচাই করে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করার কথা বলা হলেও বিগত এক বছরে সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জনমনে নানা ধরনের প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। এর আগে ফখরুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ও একবার সরকারি কর্মচারীর কাছ থেকে সম্পদ বিবরণী নেওয়া হয়েছিল। তখনো তা পর্যালোচনা করা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডিসি নিয়োগের জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্বিতীয় দফা ফিটলিস্ট তৈরির কাজে হাত দিয়েছে গত ১১ জানুয়ারি। প্রায় ৬ মাস ধরে ডিসির ফিটলিস্ট তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয় দফা ফিটলিস্ট তৈরির মৌখিক পরীক্ষায় ২৫ ও ২৭ ব্যাচের ৪০ শতাংশ কর্মকর্তা অংশ নেননি। কারণ তারা হাসিনা সরকারের সময়ে ত্রুটিপূর্ণ ও বিতর্কিত নির্বাচন করা কর্মকর্তাদের করুণ পরিণতি দেখে আগেভাগে সতর্ক হয়েছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই কর্মরত অধিকাংশ ডিসি প্রত্যাহার করে নতুন ডিসি নিয়োগ হওয়ার কথা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, একক ব্যাচ হিসাবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারের ২৪তম ব্যাচকে উপসচিব থেকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যাচে প্রশাসন ক্যাডরে মোট অফিসার ৩৪৮ জন। এর মধ্যে পদোন্নতি পেয়েছেন ১৬৪ জন (৪৭ শতাংশ)। বঞ্চিত হয়েছেন ১৮৪ জন (৫৩ শতাংশ)। নিকট-অতীতে একটি ব্যাচের এত কর্মকর্তা একসঙ্গে পদোন্নতিবঞ্চিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।খবর যুগান্তর

Google News

প্রতিদিন ইসলাম অনলাইনের খবর পেতে
Google News ক্লিক করুন।

আরও খবর

Sponsered content

🌟 Subscribe করুন 🌟

সাবস্ক্রাইব না করলে নিউজ পড়তে পারবেন না 📢


সাংবাদিক নিয়োগ

বিশ্বব্যাপী শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিক নিয়োগ

দেশের সকল জেলা–উপজেলা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শর্তসাপেক্ষে সাংবাদিক নিয়োগ দেওয়া হবে।