প্রতিনিধি ২৫ জুন ২০২৫ , ২:১৭:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
ইসলাম ডেস্কঃ ঐকমত্য কমিশনের সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করছেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন, বিএনপি বাদে অধিকাংশ দল যেহেতু এ ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন এখন বাস্তবায়নের দায়িত্ব হলো ঐকমত্য কমিশনের। আমরা দেখি উনারা কী করেন।
আরো পড়ুন:ঃ
যে কারণে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন মাউশি
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপের ষষ্ঠ দিনের দ্বিতীয় পর্ব শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, “প্রধানমন্ত্রী পদে একই ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, এ ব্যাপারে আমরা সবাই ঐক্যমত পোষণ করেছি। এই আলোচনাটা আজকেও উঠেছিল, কিন্তু বিএনপি আজকেও এই পয়েন্টে একমত হয়নি। এই হলো আজকের আলোচনার মূল বিষয়।”
তিনি আরো বলেন, “আমরাও সরি নাই এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলও সরে নাই। এই পয়েন্টে সবাই এখন পর্যন্ত ঐকমত্যই আছে যে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। অধিকাংশ দল যেহেতু এ ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন এখন বাস্তবায়নের দায়িত্ব হলো ঐকমত্য কমিশনের। আমরা দেখি উনারা কী করেন। আমরা বিশ্বাস করি, উনারা এ ব্যাপারে শক্ত থাকবেন।”
তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ যুক্তকরণে ঐকমত্য হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে পরিবর্তন আনার প্রস্তাবনা এসেছে। যেখানে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি’ উল্লেখিত হবে। এই কথার সাথে পঞ্চম সংশোধনীর ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ যুক্ত করার ব্যাপারে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ঐকমত্য পোষণ করেছে। তবে, কমিউনিস্ট পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দল এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেছে।
আজকে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির নাম বাদ দিয়ে নতুন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়েছে। একই সাথে এনসিসির নামও পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবিত কমিটিতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, নিম্নকক্ষ স্পিকার, উচ্চকক্ষ স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, প্রধান বিরোধী দল ব্যতীত অন্যান্য বিরোধী দলের দলীয় সদস্যদের মধ্য থেকে একজন, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত একজন এবং প্রধান বিচারপতি কর্তৃক আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। এই প্রস্তাবনাতেও বিএনপি সহ কয়েকটি দল বাদে অধিকাংশ দলই ঐকমত্য পোষণ করেছে।
এ বিষয়ে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “এই কমিটির প্রস্তাবনা এসেছে যাতে করে রাষ্ট্রের কোনো একক ব্যক্তির স্বৈরাচার হতে না পারে। ফ্যাসিবাদী শাসন যাতে প্রতিষ্ঠা করতে না পারে। এর থেকে দেশ, জাতি, রাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্যই কিন্তু এই প্রস্তাবনার সাথে আমরা একমত হয়েছি।”
আজকের বৈঠকে রাষ্ট্রের মূলনীতি, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ (উচ্চকক্ষের নির্বাচন পদ্ধতি), জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন কাঠামো, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি ও নারী প্রতিনিধিত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে।