. "দেবোত্তর দাখিল মাদরাসায় ভালোবাসার ফুলেল শুভেচ্ছায় সুপারের দায়িত্ব গ্রহণ" - protidinislam.com | protidinislam.com |
ইসলাম

. “দেবোত্তর দাখিল মাদরাসায় ভালোবাসার ফুলেল শুভেচ্ছায় সুপারের দায়িত্ব গ্রহণ”

  প্রতিনিধি ২৬ জুন ২০২৫ , ১১:২১:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

Oplus_131072

এম এ সাইদ (তন্ময়): আজ ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার)দেবোত্তর দাখিল মাদরাসায় এক অনন্য দিন। শিক্ষক, ছাত্র এবং অভিভাবকদের চোখে আজ ছিল আনন্দে ও আবেগে পরিপূর্ণ এক অধ্যায় রচনার দিন। অত্র প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিনের নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক ও সহকারী সুপার “মোঃ আবু ইউসুফ খান হাদুলী” আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ভারপ্রাপ্ত থেকে পূর্ণাঙ্গ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

Oplus_131072


পুর্বের সুপার সাহেব রিটায়ার্ড করার পর, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল। তাঁর আন্তরিকতা, নেতৃত্বগুণ ও সহানুভূতির মাধ্যমে তিনি এই দায়িত্ব অত্যন্ত সফলভাবে পালন করেন। আজ সেই আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ হলো—শিক্ষকদের ভালোবাসা ও শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধায় তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করলেন সুপারের চেয়ারে।

Oplus_131072


🌼 শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি

আজ সকালে, এক অনাড়ম্বর কিন্তু আবেগঘন আয়োজনে মাদরাসা চত্বরে শিক্ষকবৃন্দ তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাসে মুখর ছিল। সহকর্মীরা তাঁকে সুপারের চেয়ারে বসিয়ে একটি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

তিনি একজন শিক্ষক হিসেবে যেমন সফল, তেমনি একজন মানুষ হিসেবে অত্যন্ত বিনয়ী, সদালাপী এবং উদার মনের অধিকারী। শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কখনো প্রথাগত প্রশাসনিক সীমারেখায় আবদ্ধ ছিল না। তিনি ছিলেন সবার বন্ধু, অভিভাবক, এবং পথপ্রদর্শক।

তিনি বিশ্বাস করেন—

> “প্রতিষ্ঠান পরিচালনার চেয়ে বড় দায়িত্ব হলো, সবার হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া। ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর ন্যায়ের মাধ্যমে মাদরাসার পরিবেশকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করাই আমার লক্ষ্য।”

🕌 প্রতিষ্ঠান নিয়ে তাঁর স্বপ্ন

নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বলেন—

> “দেবোত্তর দাখিল মাদরাসা শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি আমার আত্মার একটি অংশ। আমি চাই এই প্রতিষ্ঠান হোক নৈতিকতা, জ্ঞানের এবং মূল্যবোধের এক উজ্জ্বল বাতিঘর। সবার সহযোগিতায় আমরা এটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব ইনশাআল্লাহ।”

শিক্ষকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, তাঁর নেতৃত্বে মাদরাসার শিক্ষার মান আরও বৃদ্ধি পাবে, শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠন আরও সুদৃঢ় হবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক আরও মানবিক ও গভীর হবে।

আরও খবর

Sponsered content