প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৫:৫১:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
ইসলাম ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে থাকলে চলতি অর্থবছরের মধ্যেই প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
আরো পড়ুনঃ
সাপ্তাহিক দুইদিন ছুটির আওতায় আসছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে
যে কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান কে দায়ভার নিতে হবে
জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত নিয়ে ধাপে ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট মাধ্যমে জানা গেছে।
ডিপিই থেকে জানা গেছে, দীর্ঘ ১৭ মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সচল হওয়ায় প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
এই নিয়োগের আবেদন কার্যক্রম শেষে তা যাচাই-বাছাই কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে প্রশ্নপত্র তৈরি, ওএমআর (উত্তরপত্র) তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।
অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের বড় নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হলে ডিপিইও শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করতে চায়।
জানতে চাইলে ডিপিইর মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুর আলম জাগো নিউজকে বলেন, করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা।
এই নিয়োগের জন্য ১৩ লাখের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন। পরীক্ষা আয়োজনে আমরা প্রস্তুত আছি, করোনা সংক্রমণ আর বৃদ্ধি না পেলে এ পরীক্ষা শুরু করতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি, সরকারি কর্ম কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে আমরাও নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করতে চাই।
চলতি অর্থবছরের মধ্যে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। বর্তমানে ওএমআর সিট প্রস্তুতের কাজ চলছে।
জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত নিয়ে ধাপে ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা যায় কি-না সেটি নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ করেও লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেই আমরা এ নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করতে চাই।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে এই নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হয়নি।
এ অবস্থাতেও নিয়োগ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কাজ এগিয়ে রাখা হয়েছে। পরীক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সারাদেশে ৩২ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার।
যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়োগ পাবেন ২৫ হাজার ৬৩০ জন। বাকিগুলো শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নিয়োগে ১৩ লাখ ৫ হাজারের বেশি আবেদন জমা হয়েছে।