আন্দোলনরত শিক্ষক নেতারা নতুন যে কর্মসূচি দিলেন। - protidinislam.com | protidinislam.com |  
জাতীয়

আন্দোলনরত শিক্ষক নেতারা নতুন যে কর্মসূচি দিলেন।

  প্রতিনিধি ৩০ জুলাই ২০২৩ , ৬:২২:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্ক: আগামীকাল সোমবার (৩১ জুলাই) এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত না দিলে আগামী মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) থেকে লাগাতার অনশন কর্মসূচী পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয়করণের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) নেতৃত্বাধীন আন্দোলরত শিক্ষকরা।

আজ রবিবার জাতীয়করণের দাবিতে ২০তম দিনের মতো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই ঘোষণা দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কাওছার আহমেদ।

তিনি বলেন, গত ৭ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ এবং বিটিএ’র সভাপতি ওআমি সহ ৫ সদস্যের প্রতিনিধিগণ বৈঠক করি। মহাপরিচালক বিটিএ’র নেতৃবৃন্দের সাথে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকের আয়োজন করেন। শিক্ষা মন্ত্রীর বৈঠকে কিছু সংগঠনকে বাদ দিয়ে আন্দোলনরত বিটিএ’র পাশাপাশি মূল ধারার শিক্ষক সংগঠনসহ সরকারের আশির্বাদপুষ্ট একটি সংগঠনের অঙ্গসংগঠনের অখ্যাত, স্বঘোষিত ও সদ্য গজিয়ে ওঠা থানা/মহানগর পর্যায়ের শিক্ষক নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যারা বৈঠকে আন্দোলনরত শিক্ষক- কর্মচারীদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে বৈঠকের পরিবেশ ঘোলাটে করার চেষ্টা করে। বৈঠকের পূর্বে ও পরে শিক্ষা মন্ত্রীর শিক্ষকদের কটাক্ষ করে দেয়া বক্তব্য ও গ্রীষ্মের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্তে সরাদেশের বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীগণ মর্মাহত হন। গ্রীষ্মের ছুটি শীতকালে প্রদানের ঘোষণায় সারাদেশের ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠেছে। শিক্ষক-কর্মচারীগণ শিক্ষামন্ত্রীর অসৌজন্যমূলক বক্তব্যসহ গ্রীষ্মের ছুটি বাতিলের নির্দেশ প্রত্যাখানের ফলে প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিনিয়ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উপস্থিতি বাড়ছে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত না পেলে ১ আগস্ট থেকে আমরণ অনশনে যাবার ঘোষণা দিচ্ছি আমরা।

আন্দোলনরত শিক্ষক নেতারা বলছেন, ১২ হাজার টাকায় ১৫ দিনও চলা যায় না। সেখানে এক মাস চলব কীভাবে? এই বেতনে চাকরি করছেন মাধ্যমিক শিক্ষকরা। এটা লজ্জার। এ বৈষম্য দূর না করা পর্যন্ত আমরা স্কুলে ফিরে যাব না। আমাদের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরাও আছে, অভিভাবকরাও আছেন। গভর্নিং বডির সদস্যদেরও সম্মতি আছে। শুধু শিক্ষামন্ত্রী আর মাউশি আমাদের সঙ্গে নেই। তাদের কারণেই জাতীয়করণ আটকে আছে।

রবিবার দুপুরে প্রেসক্লাব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের মতো আজ সকাল থেকেও শিক্ষকদের স্লোগানে উত্তাল জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকা। পাশাপাশি প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান নেওয়ার কারণে পল্টন থেকে মৎস্যভবন যাওয়ার সড়ক বন্ধ রয়েছে। এতে এই রুটে চলাচলকারী যানবাহনগুলো কাকরাইল হয়ে মৎস্য ভবন সড়কে প্রবেশ করে মতিঝিল রুটে চলাচল করছে। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে একটি ব্যানারও লাগিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এর আগে নির্বাচনের আগে জাতীয়করণ সম্ভব নয় জানিয়ে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যেতে বলেছিলেন। তবে ওই সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ নিয়ে কাজ চলছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও দাবি আদায় না হওয়ায় আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষকরা, তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করছেন।

গত ১১ জুলাই সারাদেশ থেকে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢাকায় এসে এই আন্দোলনে যোগ দেন। আজ রোববার শিক্ষকদের এই কর্মসূচির ২০তম দিন চলছে।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH