- আরও
প্রতিনিধি ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৮:৪৮:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ
ইসলাম ডেস্কঃ প্রাইমারির মতো ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে জাতীয়করণসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি।
আরো পড়ুনঃ
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কঠোর হুশিয়ারি দিলেন যে সকল শিক্ষককে
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আলোচনা সভায় বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি এই দাবি জানায়।
অন্য দাবিগুলো হলো-
১.কোডবিহীন মাদ্রাসাগুলাে বাের্ডের মাধ্যমে কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা।
২.স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা নীতিমালা-২০১৮ সংশােধন করে আলিম শিক্ষক একজনের পরিবর্তে এইচএসসি পাস-সমমান এক জন অন্তর্ভুক্ত করা।
৩.প্রাইমারির মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় অফিস সহায়ক নিয়ােগ।
৪.প্রাইমারির মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদেরকে পিটিআই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা।
৫.প্রাইমারির মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় আসবাবপত্রসহ ভবন নির্মাণ।
৬.প্রাইমারির মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার স্থায়ী রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা।
সংগঠনের সভাপতি কাজী ফয়েজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শায়েখ খন্দকার গোলাম নকশাবন্দি, আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. একে এম ইয়াকুব হোসাইন, বাংলাদেশ ইসলামিক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মেছবাহুর রহমান চৌধুরী, গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহদাত হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, সমিতির উপদেষ্টা মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বলা হয়, প্রাইমারির মতো ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়।
সরকারের বিভিন্ন কাজ প্রাইমারির শিক্ষকদের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরাও করে থাকেন। ১৯৯৪ সালে প্রাইমারির মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদেরও ৫০০ টাকা ভাতা দেয়া হয়।
কিন্তু প্রাইমারির শিক্ষকদের বেতন ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করার পরও তাদেরকে ২০১৩ সালে বর্তমান সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে।
অথচ মাত্র ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন ৫০০ থেকে বৃদ্ধি করে প্রধান শিক্ষক ২৫০০ এবং সহকারী শিক্ষক ২৩০০ টাকা পান। যা এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে অমানবিক।
বাকি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলাে কোনো বেতন ভাতা পায় না। তাই কর্তৃপক্ষকে আমাদের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
