প্রতিনিধি ১১ মে ২০২৩ , ১২:২৩:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ
ইসলাম ডেস্ক: শিক্ষক নিবন্ধনের পরীক্ষা গ্রহণের দুই মাসের মধ্যেই ফল প্রকাশের টার্গেট নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। সেই লক্ষ্যে আগামী জুলাই মাসের প্রথম দিকেই এই ফল প্রকাশ করা হবে। গত শুক্রবার এবং শনিবার দেশের প্রায় লক্ষাধিক প্রার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের টার্গেট নির্ধারণ করেছে এনটিআরসিএ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল আগামী জুলাই মাসে প্রকাশ করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষার খাতাও পরীক্ষকদের কাছে পাঠানো শুরু হয়েছে। এর আগে গত শুক্র ও শনিবার অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় অংশ নেয়া লক্ষাধিক প্রার্থীর খাতা এনটিআরসিএ কার্যালয়ে জমা হতে শুরু করেছে।
এ দিকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়নের সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষা নেয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হয়। অনিবার্য পরিস্থিতিতে এ সময় আরো ১৫ দিন বাড়ানোর সুযোগ আছে। সর্বোপরি ৬০ দিনের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে। বিধান অনুযায়ী ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৬০ দিন পূর্ণ হবে আগামী ৪ জুলাই।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারীর প্রকোপে সব বন্ধ থাকায় ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশে প্রায় এক বছর সময় লেগেছিল। ১৭তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব মো: ওবায়দুর রহমান জানান, আমাদের বিধান আছে ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করার। সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ চলছে।
তিনি আরো বলেন, বিভাগীয় শহরের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো থেকে খাতা আসতে শুরু করেছে। এসব খাতা পরীক্ষকদের কাছে পাঠানো হবে। সেগুলো দেখা শেষে ফেরত এনে ফল প্রস্তুত করা হবে। এসব কাজে কিছুটা সময় লাগবে। খাতা দেখা ও ফল প্রক্রিয়ায় কতটুকু সময় লাগবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে আশা করছি বিধি অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা যাবে।
এ বছর গত ৫ ও ৬ মে শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এক লাখ চার হাজারের বেশি প্রার্থী। গত ৫ মে অনুষ্ঠিত স্কুল ও স্কুল পর্যায়-২ এর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৫৭ হাজার ২৭৪ জন। আর ৬ মে অনুষ্ঠিত কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৪৭ হাজার ৫৬০ জন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১ লাখ ৫১ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেলেও ১ লাখ ৪ হাজারের বেশি প্রার্থী এ পরীক্ষা দিয়েছেন