কিন্ডারগার্টেন স্কুলের জন্য বিশাল সুখবর দিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় - protidinislam.com | protidinislam.com |  
আইন বিভাগ

কিন্ডারগার্টেন স্কুলের জন্য বিশাল সুখবর দিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়

  প্রতিনিধি ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৫:৩৬:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্ক: দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৩৯টি। যার মধ্যে সরকারি ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। বাকিগুলো কিন্ডারগার্টেনসহ বেসরকারি বিদ্যালয়। কিন্তু বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর প্রায় ৯০ ভাগেরই নিবন্ধন নেই। ইচ্ছেমতো তারা চলছে। আগে একটি বিধিমালা থাকলেও সেটি বাস্তবে কাজে দেয়নি। এখন সেটিকে আরও যুগোপযোগী করে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর মাধ্যমে বেসরকারি বিদ্যালয় চালাতে হলে নির্ধারিত শর্ত মেনে নিবন্ধন ও শিক্ষাবিষয়ক (একাডেমিক) স্বীকৃতি লাগবে। তা ছাড়া চালানো যাবে না। শিক্ষাবিষয়ক স্বীকৃতি দেবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং নিবন্ধন দেবে প্রাথমিকের বিভাগীয় উপপরিচালক।

সাক্ষরতা দিবসের তথ্য জানাতে আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বিধিমালাটি আইন মন্ত্রণালয় থেকে আইনি যাচাই বাছাই (ভেটিং) করে তাঁদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন খুব শিগগিরই এটি জারি করা হবে।

আমরা চাচ্ছি কোনো বিদ্যালয় যেন একাডেমিক স্বীকৃতি ও নিবন্ধন ছাড়া পরিচালিত না হয়। আমরা চাইব ২০২৪ সালের ‌১ জানুয়ারির পর থেকে যেন একাডেমিক স্বীকৃতি বিহীন ও নিবন্ধনবিহীন কোনো বেসরকারি বিদ্যালয় না চলে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ২০১১ সালের বিধিমালা থাকা সত্ত্বেও প্রায় ৯০ ভাগ বেসরকারি বিদ্যালয় নিবন্ধন ও একাডেমিক স্বীকৃতি ছাড়াই এখনো চলমান আছে। এখন সংশোধিত বিধিমালা জারি করা হবে। এর ফলে বেসরকারি পর্যায়ের ইংরেজি মাধ্যম বাদে বাকি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো (কিন্ডারগার্টেনসহ) নিয়মনীতির আওতায় আসবে। নিবন্ধন ও একাডেমিক স্বীকৃতি ছাড়া এগুলো চলবে না।

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, একাডেমিক স্বীকৃতির জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ৩০ দিনের মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন দেবেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে একাডেমিক স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত দেবেন। আর নিবন্ধনের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে বিভাগীয় উপপরিচালকের কাছে প্রতিবেদন দেবেন। বিভাগীয় উপপরিচালক নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত দেবেন। এ জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরেও আসতে হবে না। তবে বিভাগীয় উপপরিচালকের সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ হলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আপিল করা হবে। নিবন্ধন ফি ২০১১ সালের বিধিমালা অনুযায়ীই রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিধিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মেনে নিবন্ধন ও একাডেমিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে একাডেমিক স্বীকৃতি তিন বছরের জন্য এবং নিবন্ধন এক বছরের জন্য দেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি শর্ত পুরণ করে তাহলে তা ধারাবাহিকভাবে চলবে। না হলে বাতিল করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH