কে হচ্ছেন মাউশি'র পরবর্তী ডিজি? আলোচনায় যাদের নাম - protidinislam.com | protidinislam.com |  
জাতীয়

কে হচ্ছেন মাউশি’র পরবর্তী ডিজি? আলোচনায় যাদের নাম

  প্রতিনিধি ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ , ১০:২৯:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্কঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ পেতে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের সরকার সমর্থক কর্মকর্তাদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ

জরুরি যে নির্দেশ দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর

বর্তমান মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের মেয়াদ আগামী ১১ জানুয়ারি শেষ হবে।

তিনি ওইদিন অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (পিআরএল) যাবেন। এরই মধ্যে এ পদে আসতে আগ্রহীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লবিং শুরু করেছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ডিজি পদটি অত্যন্ত সম্মানজনক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার নীতিনির্ধারণী পদ।

এ পদে সরকার যোগ্য লোককেই নিয়োগ দেবে। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নামের প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, পাঠানো হয়নি। এখনও তো সময় আছে, দেখা যাক।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মাউশি মহাপরিচালকের পদটি অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার। এটি বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদ।

মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে পদটি খুবই আকর্ষণীয় বলে শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কাছে বিবেচিত হয়। শিক্ষা খাত-সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, অসংখ্য পদপ্রত্যাশীর মধ্য থেকে এ পদের জন্য বেশ কয়েকজনের নাম শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হতে পারে।

তারা হলেন- বর্তমান মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক (আরও দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক), ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আজমতগীর, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ও স্বাধীনতা বিসিএস শিক্ষা সংসদের সভাপতি অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন।

এ ছাড়া ওই পদের জন্য মাউশির সাবেক পরিচালক ও বর্তমানে ধামরাই সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সেলিম মিয়া, মাউশির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) অধ্যাপক প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য, মাউশির পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক শফিউল আযম এবং রাজধানীর ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকারের নামও জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে।

জানা যায়, শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের ওপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ নীতিনির্ধারকের আশীর্বাদ রয়েছে। অধ্যাপক নেহাল আহমেদ রাষ্ট্রের একজন ভিভিআইপির আপন ভাগ্নে এবং তিনি শিক্ষা ক্যাডারে সজ্জন মানুষ হিসেবে পরিচিতি।

অধ্যাপক নাসির উদ্দিনের পক্ষে শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা একাট্টা হয়েছেন। অধ্যাপক সেলিম মিয়ার ওপর চিফ হুইপের আশীর্বাদ আছে।

অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক সভাপতি।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, এটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখবেন। মহাপরিচালক হওয়ার বিষয়ে ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, সরকারি চাকরি করি, সরকার যা সিদ্ধান্ত নেয়, সেটিই হবে। অধ্যাপক ড. সেলিম মিয়া বলেন, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতেই মহাপরিচালক নিয়োগ হওয়া উচিত।

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার বলেন, আমার নাম কীভাবে আলোচনায় এসেছে, সঠিক জানি না। শিক্ষামন্ত্রী আমাকে ঢাকা কলেজে দিয়েছেন, আমি সন্তুষ্ট। আজ পর্যন্ত কোনো পদে আমি কখনও তদবির করে যাইনি।

একাধিক সূত্র জানায়, এ পদে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতেও নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে। এ ক্যাডারের সব অধ্যাপক জাতীয় বেতন স্কেলের তৃতীয় গ্রেডপ্রাপ্ত নন। তাই গ্রেডেশন তালিকা অনুসারে তৃতীয় গ্রেডপ্রাপ্ত, শিক্ষা ক্যাডারের শীর্ষ জ্যেষ্ঠ ১০ কর্মকর্তা হলেন- নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যাপক (ব্যবস্থাপনা) ড. মো. আলাউদ্দিন, সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক (হিসাববিজ্ঞান) ড. এসআইএমএ রাজ্জাক, মাউশির বর্তমান মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক, যশোর সরকারি এমএম কলেজের অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) ড. মো. হাসান সোহরাওয়ার্দী, মাউশিতে ওএসডি থাকা অধ্যাপক (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) মো. সাইদুর রহমান, গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লায়েড হিউম্যান সায়েন্সের অধ্যক্ষ ইসমত রুবিনা, বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. শাহজাহান আলী, বরিশালের হায়ার সেকেন্ডারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (এইচএসটিটিআই) পরিচালক মো. শাহ আলম, ধামরাই সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সেলিম মিয়া এবং দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবু বকর সিদ্দিক।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH