চতুর্থ গনবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকদের যে তথ্য দিলেন 'এনটিআরসিএ' - protidinislam.com | protidinislam.com |  
জাতীয়

চতুর্থ গনবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকদের যে তথ্য দিলেন ‘এনটিআরসিএ’

  প্রতিনিধি ২৩ মে ২০২৩ , ৫:৩৮:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্ক: শিক্ষকদের মধ্যে জাল সনদের ছড়াছড়ি বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি জাল পাওয়া যায় শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ। এ জন্যই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচিত ৩২ হাজার প্রার্থীদের চূড়ান্তভাবে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করার আগে নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

জানা যায়, আগে বিভিন্ন গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্বাচিত প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের পরই সাধারণত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করা হতো। সম্প্রতি এনটিআরসিএর হাতেই অনেক শিক্ষকের জাল নিবন্ধন সনদ ধরা পড়ে। এ জন্য চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচিত ষষ্ঠ থেকে ১১তম নিবন্ধনধারীদের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান মো. এনামুল কাদের খান বলেন, ‘আমরা সম্প্রতি কিছু শিক্ষকের সনদ যাচাই করে শতাধিক জাল পেয়েছি। এমপিওভুক্তির সময়ও অনেকের জাল সনদ পাওয়া যায়। আর এই জাল সনদের প্রবণতা দেখা গেছে ষষ্ঠ থেকে ১১তম নিবন্ধনকারীদের মধ্যে। তাই যদি কারো জাল সনদ থাকে তা যেন চাকরির আগেই ধরা পড়ে, এ জন্য চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচিত সকলের নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আর এ মাসেই পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজও শেষ হবে। একই সঙ্গে চলবে সনদ যাচাই। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে আমরা প্রাথমিক নির্বাচিতদের নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করব।’

গত রবিবার চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচিতদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জমা দিতে নির্দেশনা জারি করে এনটিআরসিএ। সেখানে বলা হয়, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় সহকারী মৌলভী ও আইসিটি পদ ব্যতীত অবশিষ্ট বিভিন্ন পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ষষ্ঠ থেকে ১১তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদ আগামী ২৬ জুনের মধ্যে এনটিআরসিএর কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।

এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে দেওয়া ফরম্যাট অনুযায়ী সনদগুলো সত্যায়িত করে সনদ জমা দিতে হবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে শিক্ষক নিবন্ধনের সনদসহ সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি ও ছকে চাহিদাকৃত তথ্য প্রেরণে ব্যর্থ হলে নিয়োগ সুপারিশের জন্য বিবেচনা করা হবে না।

গত ২১ ডিসেম্বর সারাদেশের স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩২ হাজারের বেশি নিবন্ধনধারীদের নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়। বর্তমানে সুপারিশপ্রাপ্তদের অনলাইনে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ চলছে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত ভি-রোল ফরম জমা দেওয়া যাবে।

জানা যায়, সম্প্রতি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৬৭৮ জন জাল সনদধারী শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তাদের এমপিও বন্ধ করা এবং অবৈধভাবে এমপিও বাবদ ভোগ করা অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে। আর এসব জাল সনদধারীর বেশির ভাগেরই নিবন্ধন সনদ জাল পাওয়া গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করতে বলা হয়েছে। অবৈধভাবে গ্রহণকৃত বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। যারা অবসরে গেছেন তাদের অবসরের সুবিধা প্রাপ্তি বাতিল হবে। যারা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন তাদের আপত্তির টাকা অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করতে হবে।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH