চেয়ারম্যান প্রার্থী শিক্ষকের কান্ড! স্কুল বন্ধ রেখে ৪০০ ছাত্রী নিয়ে নির্বাচনী মহড়া - protidinislam.com | protidinislam.com |  
অপরাধ

চেয়ারম্যান প্রার্থী শিক্ষকের কান্ড! স্কুল বন্ধ রেখে ৪০০ ছাত্রী নিয়ে নির্বাচনী মহড়া

  প্রতিনিধি ১৩ নভেম্বর ২০২১ , ১১:৪৯:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্কঃ স্কুল বন্ধ রেখে চার শতাধিক ছাত্রী নিয়ে চার কিলোমিটার পথ মহড়া ও মিছিল দিয়ে পরে আলোচনা সভা করেছেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান।

এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তিনি আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন।

শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়াম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ফজলুর রহমান। তিনি আবার কচাকাটা বালিকা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

জানা যায়, তার নির্দেশে স্কুলের পাঠদান বন্ধ রেখে বিদ্যালয় মাঠ থেকে সারিবদ্ধ হয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে প্রায় চার কিলোমিটার ব্যাপী মিছিল দিয়ে নয়আনা গ্রামে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে যায় চার শতাধিক ছাত্রী।

সেখানে সামিয়ানা টানিয়ে নির্বাচনী আলোচনা সভা করা হয়। সভা শেষে খিচুরি খাওয়ানো হয় শিক্ষার্থীদের।

আলোচনা সভায় ছাত্রীদের কাছে তাদের বাবা-মায়ের ভোট চান প্রধান শিক্ষক। একইসঙ্গে ছাত্রীরা যেন আশপাশের লোকজনের কাছেও তার পক্ষে ভোট চায়, সে কথাও বলেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের মিছিলে নিয়ে যাওয়ায় এলাকায় নানা সমালোচনা হচ্ছে। অনেক অভিভাবক এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। মিছিলে অংশ নেওয়া কয়েকজন ছাত্রী জানায়, প্রধান শিক্ষক তাদের দাওয়াত দিয়েছেন।

তাই তারা গেছেন। কয়েকজন বলেন, স্যারের বাড়িতে ভোটের দাওয়াত খেতে যাচ্ছি আমরা।

তবে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান জানান, ভোটে দাঁড়ানোর পর বিদ্যালয়ে আর যাইনি।

এজন্য শিক্ষার্থীরা আমার বাড়িতে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। তারা আমার নির্বাচনে প্রচার বা মহড়ার কাজে আসেনি।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, এটা বিধিভঙ্গের শামিল। আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া রয়েছে। এত বড় উপজেলায় একজন কর্মকর্তাকে সব দেখা কষ্টকর।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা দেখবেন।

তবে ছাত্রীদের নিয়ে কেন প্রচারণা করলেন, এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের কাছে চিঠি দেওয়া হবে। বিভাগীয় নীতি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর আহমেদ মাছুম বলেন, বিষয়টি জানার পরই রিটার্নিং কর্মকর্তাকে তদন্ত করে নির্বাচনী আচরণ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকেও বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH