ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে বিয়ে, অতঃপর যা হলো - protidinislam.com | protidinislam.com |  
অপরাধ

ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে বিয়ে, অতঃপর যা হলো

  প্রতিনিধি ২ নভেম্বর ২০২১ , ১১:১৮:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্কঃ ধর্মীয় পরিচয় গোপন ও প্রতারণা করে মুসলিম তরুণীকে (২১) বিয়ের অভিযোগে তাপস বিশ্বাস (২৮) নামে এক হিন্দু যুবককে গ্রেপ্তার করেছে নেত্রকোনার মদন থানা পুলিশ।

আরো পড়ুনঃ

ঢাবির ‘খ’ ইউনিটে প্রথম হওয়া জাকারিয়াকে নিয়ে কোচিংয়ের টানাহেঁচড়া

তাপস বিশ্বাস (২৮) মদন উপজেলার শিবাশ্রম গ্রামের সুধাংশু বিশ্বাসের ছেলে। তরুণীর বাড়ি শেরপুর জেলায়। গ্রেপ্তার তাপসকে আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ

সরকারি কর্মচারীদের নতুন চাকরিতে আবেদন করতে হলে যা করতে হবে

একইদিন তরুণীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হবে।

মদন থানা পুলিশ, প্রতারণার শিকার তরুণী ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার তাপস গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় ব্যবসা করতেন। তরুণীটি ওই এলাকায় গার্মেন্টে কাজ করতেন।

আরো পড়ুনঃ

কিয়ামত সম্পর্কে কোরআন ও বিজ্ঞানের ভাষ্য

প্রায় তিন বছর আগে নিজের ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন তাপস।

বিষয়টি জানাজানি হলে কলেমা পড়ে মুসুলিম রীতি অনুযায়ী উভয়ের মাঝে বিয়ে হয়। প্রায় তিন বছর ঘর সংসার করার এক পর্যায়ে তাপস তরুণীর জমানো টাকা-পয়সা নিয়ে গ্রামের বাড়ি শিবাশ্রম চলে আসেন।

এক মাস আগে তিনি দূর্গাপুর উপজেলায় হিন্দুরীতি অনুযায়ী আরো একটি মেয়েকে বিয়ে করেন। জানতে পেরে গত ১০ অক্টোবর ওই তরুণী তাপসের বাড়ি আসলে তাপস তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে অস্বীকার ও পুলিশে দেয়।

প্রতারিত তরুণী জানায়, তাপস তার ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। জানাজানি হলে কলেমা পড়ে আমাকে বিয়ে করেন।

আরো পড়ুনঃ

এখন নিভৃত পল্লীতেও মিলছে আইসিটির সব সুবিধা: কৃষিমন্ত্রী

আমরা তিন বছর ঘর-সংসার করেছি। এদিকে, তাপস প্রেমের সম্পর্ক স্বীকার করলেও তাদের বিয়ের কথা অস্বীকার করেছেন।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, তাপসকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। তরুণীকে নিরাপদ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই আলমগীর বলেন, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH