নতুন শিক্ষাক্রমে যে বিষয়গুলোর পরিবর্তন হচ্ছে - protidinislam.com | protidinislam.com |  
জাতীয়

নতুন শিক্ষাক্রমে যে বিষয়গুলোর পরিবর্তন হচ্ছে

  প্রতিনিধি ৩ জানুয়ারি ২০২২ , ৪:১৬:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্কঃ শিক্ষাক্রমে বড় পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ৬০টি স্কুলে প্রথম ও ষষ্ঠ শ্রেণির পাইলটিংয়ের মাধ্যমে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে।

আরো পড়ুনঃ

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে সুখবর দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

এরপর ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু করা হবে। নতুন শিক্ষাক্রমের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হবে ২০২৫ সালে।

এটি বাস্তবায়ন হলে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পাবলিক পরীক্ষার সংখ্যা কমবে।বাড়বে শ্রেণিকক্ষে ধারাবাহিক মূল্যায়ন।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে জানা যায়, নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পাবলিক পরীক্ষার সংখ্যা কমানো হয়েছে।

একই সঙ্গে জোর দেয়া হয়েছে ধারাবাহিক মূল্যায়নে (শিখনকালীন)। অর্থাৎ মূল্যায়ন হবে সারা বছর ধরে চলা বিভিন্ন রকমের শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে।

বিদ্যমান পাঠ্যক্রম অনুযায়ী, প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত মোট চারটি পাবলিক পরীক্ষায় (প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট, এসএসসি ও এইচএসসি) অংশগ্রহণ করতে হয় শিক্ষার্থীদের।

নতুন কারিকুলামে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে হবে এসএসসি পরীক্ষা। এর মধ্যে পাঁচ বিষয়ে হবে শ্রেণিকক্ষে ধারাবাহিক মূল্যায়ন (শিখককালীন) এবং বাকি পাঁচ বিষয়ে পাবলিক পরীক্ষা।

এ ছাড়া একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে আলাদা দুটি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই দুই পরীক্ষার ফলের সমন্বয়ে এইচএসসির চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে।

নতুন শিক্ষাক্রমের আরও একটি বড় পরির্বতন হলো নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন তুলে দেয়া হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা বিভাগ বিভাজন (বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায়) করবে উচ্চমাধ্যমিকে গিয়ে।

অর্থাৎ ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে অভিন্ন ১০টি বিষয়ে পড়ানো হবে।

হঠাৎ করে দশম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়বে কি না এমন প্রশ্নে এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মশিউজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নতুন শিক্ষাক্রমের ডিজাইন এমনভাবে করেছি যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষাভীতি থাকবে না।

নতুন কারিকুলামে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষাই রাখা হয়নি।এই শিক্ষাক্রমের একটি বড় দিক হলো পাবলিক পরীক্ষার সংখ্যা কমানো এবং শ্রেণিকক্ষে ধারাবাহিক মূল্যায়ন বাড়ানো।

নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবইয়ে কোন বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নে ড. মশিউজ্জামান বলেন, ‘বিষয়বস্তু উপস্থাপনের ধরণে বড় পরিবর্তন আসবে।

আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীরা যেন সহজে শিখতে পারে এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে। এ ছাড়া এতে তথ্য ও তত্ত্বগত বিষয় কমিয়ে ব্যবহারিক শিক্ষায় জোর দেয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৫ সালে নতুন শিক্ষাক্রমের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হবে। এর জন্য আমরা একটি রোডম্যাপ করেছি।’

‘রোডম্যাপ অনুযায়ী ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরীক্ষামূলকভাবে (পাইলটিং) নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। এরপর ২০২৩ সালে প্রথম, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি; ২০২৪ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণি; ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে নতুন শিক্ষাক্রম।

আর উচ্চমাধ্যমিকের একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH