প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গঠন করতে হবে এবিসি কমিটি - protidinislam.com | protidinislam.com |  
অপরাধ

প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গঠন করতে হবে এবিসি কমিটি

  প্রতিনিধি ১৬ আগস্ট ২০২৩ , ৬:৪৫:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্ক: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক বুলিং-র‌্যাগিংয়ের সংস্কৃতিকে বলা চলে একটি সামাজিক ব্যাধি। সাময়িক আনন্দ মনে করে সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ। বরাবরই এ বিষয়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন দেশের উচ্চ আদালত। যার ধারাবাহিকতায় চূড়ান্ত করা হয়েছে একটি নীতিমালা। আর সে নীতিমালাতেই এই ধরনের ঘটনাকে অপরাধ বিবেচনা করে বিচারের মুখে দাঁড় করানোর নির্দেশনা রাখা হয়েছে।

মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার পর ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে ‘বুলিং’ ও শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধের উপায় নির্ণয়ে একটি জাতীয় নীতিমালা তৈরির জন্য অতিরিক্ত শিক্ষা সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দেন আদালত। নির্দেশ অনুযায়ী এই কমিটি একটি নীতিমালা খসড়া করে ২০১৯ সালে আদালতে দাখিল করে। এরপর নীতিমালা কয়েক দফা সংশোধন, পরিমার্জন, সংযোজন-বিয়োজন করা হয়।

এদিকে ২০২১ সালে বুলিং নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভির আহমেদের রিটে একই বছরের ২২ আগস্ট হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। ‘বুলিং’ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলিং রোধে নীতিমালা তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়। বিষয়বস্তু একই হওয়ায় দুটি মামলা গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় পঞ্চম দফায় নীতিমালার খসড়া জমা দেয়। কিন্তু কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সেসব বিষয় সংশোধন, পরিমার্জন করে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করতে আদালত ফের সময় দেন।

পরে চূড়ান্ত নীতিমালার গেজেটের অনুলিপি হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।

চূড়ান্ত নীতিমালায় বুলিং-র‌্যাগিংয়ের অপরাধে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং গভর্নিং বডির সদস্যদের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী বুলিং-র‌্যাগিংয়ের মাত্রা অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যাবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে কয়েক ধরনের ও মাধ্যমের বুলিং-র‌্যাগিংয়ের সংজ্ঞা নীতিমালায় তুলে ধরা হয়েছে।

প্রথমত, মৌখিক বুলিং-র‌্যাগিংয়ের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, কাউকে উদ্দেশ্য করে মানহানিকর/অপমানজনক এমন কিছু বলা বা লেখা, যা খারাপ কোনও কিছুর প্রতি ইঙ্গিত বহন করে ইত্যাদিকে মৌখিক বুলিং বোঝাবে। যেমন– উপহাস করা, খারাপ নামে সম্বোধন করা বা ডাকা, অশালীন শব্দ ব্যবহার করা, গালিগালাজ করা, হুমকি দেওয়া, শারীরিক অসমর্থতাকে নিয়ে উপহাস করা বা এরকম কাজ।

শারীরিক বুলিং ও র‌্যাগিংয়ের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, কাউকে কোনও কিছু দিয়ে আঘাত করা, চড়-থাপ্পড় মারা, শরীরে পানি বা রঙ ঢেলে দেওয়া, লাথি মারা, ধাক্কা মারা, খোঁচা দেওয়া, থুতু মারা, বেঁধে রাখা, কোনও বিশেষ ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে/বসে বা বিশেষ অবস্থায় থাকতে নির্দেশ দেওয়া অথবা কোনও কিছু করতে বা না করতে বাধ্য করা, কারও কোনও জিনিসপত্র জোর করে নিয়ে যাওয়া বা ভেঙে ফেলা, মুখ বা হাত দিয়ে অশালীন বা অসৌজন্যমূলক অঙ্গভঙ্গি করা বা এরকম কাজ।

সামাজিক বুলিং ও র‌্যাগিংয়ের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, কারও সম্পর্কে গুজব ছড়ানো, প্রকাশ্যে কাউকে অপমান করা, ধর্ম, বর্ণ, জাতি, গোত্র, পেশা, গায়ের রঙ, অঞ্চল বা জাত তুলে কোনও কথা বলা বা এরকম কাজ।

সাইবার বুলিং-র‌্যাগিংয়ের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, কারও সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটু কিছু লেখা বা ছবি বা অশালীন ব্যঙ্গাত্মক কিছু পোস্ট করে তাকে অপদস্থ করা বা এরকম কাজ।

সেক্সুয়াল বুলিং ও র‌্যাগিংয়ের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আপত্তিজনক স্পর্শ করা বা করার চেষ্টা করা, ইঙ্গিতবাহী চিহ্ন প্রদর্শন করা, আঁচড় দেওয়া, জামা-কাপড় খুলে নেওয়া বা খুলতে বাধ্য করা বা এরকম কাজ। এছাড়া এমন কাজ বা আচরণ যা অসম্মানজনক, অপমানজনক ও মানহানিকর এবং শারীরিক/মানসিক যাতনার কারণ হতে পারে, যে নামেই হোক না কেন তা বুলিং ও র‌্যাগিং হিসেবে গণ্য হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কমিটি গঠন করতে হবে:

চূড়ান্ত নীতিমালায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র‌্যাগিং প্রতিরোধে কমিটি গঠন এবং কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে। সে অনুসারে বুলিং ও র‌্যাগিং প্রতিরোধে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্তৃপক্ষ তিন থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট বুলিং ও র‌্যাগিং প্রতিরোধ কমিটি (এবিসি) কমিটি গঠন করতে হবে। প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ এক বা একাধিক কমিটি গঠন করতে পারবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আত্মহত্যা, বুলিং ও র‌্যাগিং সংক্রান্ত যেকোনও ধরনের ইনজুরি প্রতিরোধ বুলিং ও র‌্যাগিং প্রতিরোধ কমিটি সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষা বছরের শুরুতেই কমিটি আবশ্যিকভাবে এবং পরে তিন মাস পর পর শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা/মতবিনিময় সভা/সেমিনার/সিম্পোজিয়াম/ওয়ার্কশপ আয়োজন করবে। এ কমিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র‌্যাগিং হয় কিনা তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন।

বুলিং ও র‌্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকারে কর্তৃপক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের করণীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে। সেগুলো হলো:

১. বুলিং এবং র‌্যাগিংয়ে উৎসাহিত হয় এরকম কোনও কার্যকলাপ/সমাবেশ/অনুষ্ঠান করা যাবে না।

২. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেসব জায়গায় বুলিং ও র‌্যাগিং হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেসব জায়গায় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থা করবে।

৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (আবাসিক হলসহ) কর্তৃপক্ষ তাদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে বুলিং ও র‌্যাগিংয়ের ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করবে, অন্যথায় নিষ্ক্রিয়তার জন্য দায়ী হবে।

৪. বুলিং ও র‌্যাগিংয়ের উদাহরণ এবং পরিণতি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইটে এবং প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে পোস্টারের মাধ্যমে প্রচারণা চালাবে। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে একদিন বুলিং ও র‌্যাগিং প্রতিরোধ ‘দিবস’ পালন করে বুলিং ও র‌্যাগিংয়ের কুফল সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবে।

৫. সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী/শিক্ষক/অভিভাবকদের শপথ নিতে হবে। পাঠকৃত শপথ পালনে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করাবেন এই মর্মে যে তারা কখনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বুলিং ও র‌্যাগিং করবে না, কাউকে বুলিং ও র‌্যাগিংয়ের শিকার হতে দেখলে রিপোর্ট করবে, প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।

৬. বুলিং ও র‌্যাগিংয়ের কুফল সম্পর্কিত সিনেমা, কার্টুন, টিভি সিরিজের প্রদর্শন, অনলাইনে দায়িত্বশীল আচরণের ব্যাপারে অনলাইন আচরণ সম্পর্কিত কর্মশালা ইত্যাদিসহ সহপাঠ্যক্রমিক কর্মশালা আয়োজনের নিমিত্ত কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

৭. কর্তৃপক্ষ বুলিং ও র‌্যাগিং প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের ‘এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ’-এ অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করবেন। যেমন– শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে বিকশিত করা লক্ষ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান মেলা, গণিত অলিম্পিয়াড, বই পড়ার প্রতিযোগিতা, দাবা খেলা, কেরাম খেলা ও বিভিন্ন খেলাধুলা আয়োজন করবেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহমর্মিতা এবং সহানুভূতিশীলতার শিক্ষা দিতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজে নিযুক্ত করতে হবে।

৮. শিক্ষার্থীরা বুলিং/র‌্যাগিংয়ের কুফল কিংবা এর ফলে কীভাবে একজন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া জন্য এবং সে সঙ্গে বুলিং ও র‌্যাগিং সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান তারা নিজেরাই বের করতে উদ্যোগী হওয়ার জন্য শিক্ষক রোল প্লে করবেন।

৯. সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট কোনও শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের কাউন্সেলিংয়ের দায়িত্ব দিতে হবে। তাদের কাউন্সিলর হিসেবে অভিহিত করা হবে।

১০. বুলিং ও র‌্যাগিং নীতিমালা বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

১১. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়মিত বুলিং ও র‌্যাগিং বিষয়ে পরিবীক্ষণ করবেন এবং নীতিমালা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবেন।

রয়েছে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ:

চূড়ান্ত নীতিমালায় র‌্যাগিং বা বুলিং করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বলা হয়েছে। সেগুলো হলো–

১. বুলিং-র‌্যাগিংয়ে কোনও শিক্ষক, অশিক্ষক অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন/বিধি অনুযায়ী শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২. বুলিং ও র‌্যাগিংয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ/গভর্নিং বডি/ম্যানেজিং কমিটি/এডহক কমিটি/বিশেষ কমিটির কোনও সভাপতি/সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিধি, আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফৌজদারি আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

কার্য তালিকা অনুসারে গত ১৪ আগস্ট মামলাটি হাইকোর্টের শুনানিতে ওঠে। শুনানি শেষে বুলিং ও র‌্যাগিং প্রতিরোধে নীতিমালার অনুলিপি দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিন মাসের মধ্যে পাঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নীতিমালায় উল্লিখিত নির্দেশনাগুলো ছয় মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ বলেন, দেশ স্বাধীনের পর বুলিং ও র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে দেশে কোনও নীতিমালা বা আইন ছিল না। যেহেতু কোনও নীতিমালা ও আইন ছিল না তাই এই নীতিমালাটি এখন আমাদের মূল জায়গা। এটি সরকার চাইলে সময়ে সময়ে পরিবর্তন করে যুগোপযোগী করতে পারবে। তাই প্রাথমিকভাবে এটিকে একটি সফল পদক্ষেপ বলা চলে। নীতিমালাটিতে সাজার বিধান সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি। সাজা কীভাবে হবে তা সরাসরি বলা হয়নি। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালায় যা পড়বে সে অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, বুলিং ও র‌্যাগিংয়ে নীতিমালায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। ফলে এসব ক্ষেত্রে শুধু ভুক্তভোগী নয়, এর বাইরে প্রতিষ্ঠানও ব্যবস্থা নিতে পারবে। তার মানে বিষয়টি আইন দ্বারা বাধ্য হয়ে গেলো।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH