প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে যা বললেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - protidinislam.com | protidinislam.com |  
আইন বিভাগ

প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে যা বললেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ৮ জানুয়ারি ২০২২ , ১০:৩১:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্কঃ দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কঠোর বিধিনিষেধ জারি করতে যাচ্ছে সরকার। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক বলেছেন, সারাদেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সকল হাসপাতালের নার্স-চিকিৎসকেরা সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

আরো পড়ুনঃ

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

সকল দোকানপাট রাত ৮ টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে। রেষ্টুরেন্টে টিকা সনদ ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না। বাস-ট্রেন-লঞ্চসহ যাত্রীবাহী সকল পরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহন করতে হবে। মাস্ক ছাড়া বাইরে গেলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত জেল-জরিমানা করবে।

আগামী দু’একদিনের মধ্যে এসকল বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

এ অবস্থায় স্কুল-কলেজ ফের বন্ধ ঘোষণা করা হতে পারে এমন শঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ১২ বছরের বেশি বয়সের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমের ওপর বেশি জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

তবে এর আওতায় প্রাথমিকস্তরের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা ১২ বছরের নিচে, তারা টিকার যোগ্য নয়।

আমাদের শিক্ষকদের টিকা দেওয়া হয়েছে। যদি ১২ বছরের নিচের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় তখন সেই সিদ্ধান্ত মানবো।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে এবং টিকার সিদ্ধান্ত না পেলে কি প্রাথমিক স্তরের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেটাই করবো।

আরো পড়ুনঃ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত রবিবার

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে যারা টিকা নেওয়ার পর্যায়ে পড়ে না সেই ১২ বছর বয়সীদের নিচে অর্থাৎ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে হয়তো শুরুতে বন্ধ করা হবে।

তবে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রোববার (৯ জানুয়ারি) করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চাই না। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন টিকা নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসে।

সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার সাথে হয়তো একটু অসুবিধা হতে পারে যারা ১২ বছরের কম বয়সী, তাদের নিয়ে একটু সমস্যা হতে পারে। আমরা সেই বিষয় নিয়েও কাজ করছি।

তিনি বলেন, আমাদের ধারণা মার্চ-এপ্রিলে সংক্রমণ বাড়ে। কিন্তু যে পরিমাণে বাড়তে শুরু করেছে তাতে পরিকল্পনায় কিছুটা সমন্বয় দরকার হবে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে দেশে।শনিবার (৮ জানুয়ারি) শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১১৬ জন, আর মৃত্যু হয়েছে একজনের। এদিন শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH