প্রতিনিধি ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৯:১২:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ
ইসলাম ডেস্ক: চূড়ান্ত হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদোন্নতি নীতিমালা। শিক্ষকেরা যোগ্যতা অনুযায়ী এখন অধিদপ্তরের পরিচালক পর্যন্ত হতে পারবেন। সেই সঙ্গে তৈরি হচ্ছে ৬৫ হাজার বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ। চলতি মাসে এই নীতিমালার বাস্তবায়ন শুরু হবে।
দেশে ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা ৪ লাখের মতো। প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেশিরভাগই সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করে অবসরে যান।
প্রাথমিক শিক্ষকদের পদোন্নতির সুযোগ না থাকায় শিক্ষকদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম হতাশা। সেই সঙ্গে মেধাবীরা আকৃষ্ট হচ্ছে না এই পেশায়।
এ অবস্থায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য গত বছরের মে মাসে নীতিমালার খসড়া তৈরি করে। কিন্তু, নানা জটিলতায় চূড়ান্ত হচ্ছিল না। মন্ত্রণালয় বলছে, এরইমধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে। চলতি মাসে এর বাস্তবায়ন হবে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহম্মদ বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষকেরা পদোন্নতি পেয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী তৃতীয় গ্রেডের কর্মকর্তা পর্যন্ত হতে পারবেন। সেই সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ তৈরি হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ অনলাইন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহবায়ক ফরিদ আহাম্মদ বাংলাদেশ শিক্ষাকে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হলে জাতীয়করণ বিদ্যালয়গুলোর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের মামলা করার প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে।কারণ যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য থাকবে সেখানে পদাধিকার বলে সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন।যারফলে মামলা করে জাতীয়করণ শিক্ষকদের আর প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের সুযোগ থাকবেনা।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম ওয়াহিদুজ্জামান বলছেন, পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টির ফলে মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসবে। সেই সঙ্গে শিক্ষকদের বেতন কাঠামোও উন্নত করার আহ্বান তাদের।
এদিকে, ১৮ হাজার বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ খালি। সেগুলোও দ্রুত পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।