প্রাথমিক শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাওয়ার দাবি - protidinislam.com | protidinislam.com |  
জাতীয়

প্রাথমিক শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাওয়ার দাবি

  প্রতিনিধি ৬ মে ২০২৩ , ৫:৪০:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্ক: অষ্টম শ্রেণি পাস করা একজন ড্রাইভার ১২তম গ্রেড আর মাস্টার্স পাস করা একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের ১৩তম গ্রেড,শিক্ষক হিসেবে এর চেয়ে লজ্জার আর কি থাকতে পারে। এই বৈষম্য দূর করে ন্যায্যতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বেতন বৃদ্ধি করে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।

শিক্ষকদের প্রশ্ন, এইচএসসি সমমানের যোগ্যতায় বিভিন্ন সেক্টরে উক্ত গ্রেডে বেতন পেলে, স্নাতক (দ্বিতীয় বিভাগ) পাস করা সহকারী শিক্ষকরা কেন পাবেন না। স্নাতক পাশের যোগ্যতায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর (এসআই), এইচ এস সি পাসের পর নাসিং ডিপ্লোমা করে নার্স যদি ১০ম গ্রেড পেতে পারেন, তাহলে একই শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণ নিয়েও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কেন পাবেন না ?

গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে এ দাবি জানান প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ মানবন্ধনে রাজধানীসহ সারা দেশ থেকে আসা দুই হাজারের অধিক শিক্ষক অংশ নেন।

মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শিক্ষকরা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চান, তাই ১০ম গ্রেডের বিকল্প নেই। অষ্টম শ্রেণি পাস ড্রাইভারের বেতন গ্রেড ১২তম গ্রেডে অথচ স্নাতক পাস শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম। এর চেয়ে লজ্জার আর কী থাকতে পারে?

প্রবীণ এ শিক্ষক নেতা বলেন, ‘আজকে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ঐক্য। শিক্ষক নেতারা কখনো ঐক্যবদ্ধ হতে পারবেন না, কারণ তারা দালালিতে ব্যস্ত।’

তিনি বলেন, ‘এই ১০ম গ্রেড আন্দোলন আমরা শুরু করেছিলাম এরশাদ সরকারের আমলে। ডাটা অ্যান্ট্রি অপারেটররা শিক্ষকদের শিক্ষক হবেন এটা মানা যায় না। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের মর্যাদা দিতে সরকারের কার্পণ্য দেখে আমরা হতাশ।’

প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক মু. মাহবুবর রহমান বলেন, শিক্ষার ভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা। আর প্রাথমিকের শিক্ষকরা শিক্ষার সূতিকাগারের কান্ডারি। এখন এ পেশায় মেধাবীরা যোগ দিচ্ছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সুখী, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় প্রত্যয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই প্রাথমিকের শিক্ষকতা পেশায় আরও মেধাবীতে আকৃষ্ট করতে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা আশু প্রয়োজন।

মানববন্ধনে বক্তারাও তাদের দাবি মেনে নেয়ার তাগিদ দিয়ে বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মুদ্রাক্ষরিকরা ১০ম গ্রেড পেলে কেন শিক্ষকরা নয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (দ্বিতীয় বিভাগ) কিংবা সমমান হলেও ১০ম গ্রেড পেতে শুধুমাত্র আমলাতান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা দায়ী। এ সময় সরকার প্রধানের সহযোগিতা চান তারা।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH