প্রতিনিধি ১০ ডিসেম্বর ২০২১ , ১১:৪৪:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ
ইসলাম ডেস্কঃ গত বছরের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে। আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয় গত বছরের ২৪ নভেম্বর রাতে।
এর পরের ৭২ ঘণ্টা সময় ছিল পেমেন্ট করার জন্য। পেমেন্ট শেষে ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন।
আরো পড়ুনঃ
উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা নতুন করে সাজাতে নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
এর মধ্যে প্রাক্–প্রাথমিকে ২৫ হাজার ৬৩০ জন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্যপদে ৬ হাজার ৯৪৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এ পদের পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ করেও করোনাভাইরাসের কারণে এত দিন নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে করোনা কমতে শুরু করায় বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেন।
কিন্তু প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকের পরীক্ষা নেওয়ার তারিখ ঘোষণা করা হচ্ছিল না। ফলে এটি নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মনে ছিল নানা কৌতূহল।
সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এই নিয়োগ হলে শিক্ষক সংকট কেটে যাবে। দেশের ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫০ হাজারের বেশি শিক্ষকের পদ খালি।
করোনার কারণে সীমিত পরিসরে চলছে স্কুল। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে প্রতি শ্রেণিতেই বেড়েছে শাখা।
এ সময়কে সামনে রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে লিখিত পরীক্ষার। ধাপে ধাপে জেলা পর্যায়ে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।
সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হবে ৩২ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষক।
এর মধ্যে প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়োগ পাবেন ২৫ হাজার ৬৩০ জন। বাকিগুলো শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে গত দুই বছর শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত থাকায় শূন্যপদের সংখ্যা বেড়েছে।
এজন্য বাড়ানো হবে শিক্ষক নিয়োগের সংখ্যা। এদিকে পুরোদমে ক্লাস ও পরীক্ষা চালু হলে এই শিক্ষক সংকট আরো তীব্র হবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সে কারণেই ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে সহকারি শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বছরের নভেম্বরেই এ পদে আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন।
তবে করোনার কারণে পরীক্ষা নেয়া যায়নি। এ অবস্থায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নেয়া হবে এই পরীক্ষা।
আর গবেষকরা বলছেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছ হয়, সেদিকে সর্বোচ্চ নজরদারি থাকতে হবে।
এই পরামর্শ বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয় বলছে, পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ সরাসরি জানাতে।