ময়লার প্যাকেটে করে নিয়ে যাওয়া হয় ন্যান্সির স্বর্ণপদক! - protidinislam.com | protidinislam.com |  
অপরাধ

ময়লার প্যাকেটে করে নিয়ে যাওয়া হয় ন্যান্সির স্বর্ণপদক!

  প্রতিনিধি ২৮ এপ্রিল ২০২৩ , ১:১১:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

বিনোদন ডেস্ক: কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অলংকার চুরির মামলায় গৃহকর্মী মোছা. তাহমিনা ও তার স্বামী শাকিলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক ছাদেক মিয়া। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে না আসায় আগামী ২ মে তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে বুধবার রাতে এ ঘটনায় ন্যান্সির ভাই বাদী হয়ে ডিএমপির গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় গৃহকর্মী মোছা. তাহমিনা এবং তার স্বামী শাকিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, তাহমিনা ও রিপা ন্যান্সির বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। শাকিল তাহমিনাকে প্রায়ই বাসা থেকে নেওয়ার জন্য আসতেন। ৫ এপ্রিল বাসার কাউকে না জানিয়ে তাহমিনা চলে যান। এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি রিপাও বাসার কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে যান। ১৮ এপ্রিল ন্যান্সি দেখতে পান আলমারিতে তার দুটি স্বর্ণের চেইন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ডায়মন্ডের লকেটসহ মূল্যমান অলংকার নেই। যার মূল্য তিন লাখ ২১ হাজার টাকা বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ন্যান্সি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের স্বর্ণপদক, আমার ও মেয়ের গলার সোনার দুটি চেইন ও দুটি কানের দুল ওয়ার্ডরোবে রাখা ছিল। কয়েক দিন আগে ওয়ার্ডরোব পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখি এগুলো নেই। পরে বিষয়টি গুলশান থানাকে অবহিত করি।’

ন্যান্সি আরো বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছিলাম হঠাৎ করে চলে যাওয়া কাজের মেয়ের ঘটনাই এটি হতে পারে। পরে কাজের মেয়ে তাহমিনা ও তার স্বামীকে ডেকে বোঝানোও হয়েছে যে স্বর্ণপদকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ; যদি নিয়ে থাকে তাহলে যেন দিয়ে দেয়। অন্য স্বর্ণালংকার দরকার নেই। কিন্তু তারা অস্বীকার করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই কাজের মেয়ের ছোট বোন মিনা স্বীকার করে তাহমিনাই এগুলো নিয়ে গেছে। সেটি ময়লার প্যাকেটে করে নিয়ে গেছে, যাতে কেউ সন্দেহ করতে না পারে।খবর কালের কন্ঠ

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH