মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তিযুদ্ধঃ আসন প্রতি ৭ জনের আবেদন - protidinislam.com | protidinislam.com |  
জাতীয়

মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তিযুদ্ধঃ আসন প্রতি ৭ জনের আবেদন

  প্রতিনিধি ৯ ডিসেম্বর ২০২১ , ৮:৩৭:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্কঃ সারাদেশের সাড়ে ৩০০ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮০ হাজারের বেশি আসন রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ

৯ম শ্রেণিতে ভর্তির বয়স নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেন মাউশি

বেসরকারি দুই হাজার ৬৮১ স্কুলে সাড়ে ৮ লাখ আসনে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির ভর্তির লটারি আয়োজন করা হবে।

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের অধিক আগ্রহ থাকায় সেখানে প্রতি আসনে সাতজনের মতো আবেদন জমা হলেও বেসরকারি স্কুলের মোট আসনের অর্ধেকই জমা পড়েনি। তবে আবেদনের সময় বাড়ানোর কারণে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।

আরো পড়ুনঃ

স্কুলে ভর্তির অনলাইন আবেদনের সময় বৃদ্ধি করলেন মাউশি

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা গেছে, গত ২৫ নভেম্বর থেকে সরকারি-বেসরকারি স্কুল ভর্তির অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়।

আজ বুধবার আবেদন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সে সময় বাড়ানো হয়েছে। সরকারি স্কুলের অনলাইন আবেদন আগামী ১০ ডিসেম্বর রাত ১২ পর্যন্ত চলবে এবং বেসরকারি স্কুলের আবেদন ১৬ ডিসেম্বর রাত ১২ পর্যন্ত।

সরকারি স্কুলের ভর্তি লটারি আগামী ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজন করা হবে। এবার কেন্দ্রীয়ভাবে সব স্তরের স্কুলে ভর্তির জন্য লটারি আয়োজন করা হবে।

এদিকে, সারাদেশে এখন পর্যন্ত সরকারি স্কুলে ১০ লাখ ৯ হাজার ১১৭টি পছন্দক্রম হিসেবে আবেদন জমা হয়েছে। বেসরকারিতে প্রায় ৫ লাখ শিক্ষার্থীর পছন্দক্রম হিসেবে আবেদন জমা হয়েছে বলে জানা গেছে।

দেশের সাড়ে ৩০০ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৮০ হাজারের বেশি শূন্য আসন রয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা মহানগরে রয়েছে ৪৬টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

বেসরকারির মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির জন্য ২ হাজার ৬৮১ বিদ্যালয়ে ৮ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৪টি শূন্য আসন রয়েছে।

সরকারিতে একটি আসনের বিপরীতে সাত আবেদন জমা পড়লেও বেসরকারিতে শূন্য আসন পরিমাণের অর্ধেকও জমা পড়েনি।

জানতে চাইলে মাউশির উপ-পরিচালক ও ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বুধবার জাগো নিউজকে বলেন, অভিভাবকদের দাবির প্রেক্ষিতে ভর্তির আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে।

অনেক অভিভাবক বিদেশে থাকায় তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়নি বলে কেউ কেউ আবেদন করতে পারছেন না।

এছাড়া অন্যান্য কারণে অভিভাবকদের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় কেউ কেউ আবেদন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।

তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্রের পাশাপাশি পাসপোর্ট ও মোবাইল নাম্বার যুক্ত করে আবেদন করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।

উল্লিখিত যেকোনো একটি নম্বর দিয়ে এখন স্কুলে ভর্তির আবেদন করা যাবে। এ নির্দেশনা মাউশির ওয়েবসাইট ও সব জেলায় পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

সরকারি মাধ্যমিকে আবেদন বেশির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পড়ালেখার মান ভালো।

সেখানে শিক্ষার্থী ব্যয় তুলনামূলক অনেক কম বলে অভিভাবক-শিক্ষার্থীর প্রথম পছন্দ সরকারি মাধ্যমিকে ভর্তি। সেখানে সুযোগ না হলে পরে বেসরকারিতে ভর্তি হয়।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH