যেকারণে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী - protidinislam.com | protidinislam.com |  
আইন বিভাগ

যেকারণে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী

  প্রতিনিধি ১৮ নভেম্বর ২০২১ , ১:০৫:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

Spread the love

ইসলাম ডেস্কঃ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য জাতীয় মনিটরিং কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভা শেষে বিকেল ৪টায় শিক্ষামন্ত্রী এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন।

আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে।

পরীক্ষা শেষ হবে ৩০ ডিসেম্বর। আর ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক খাতার নম্বর দিয়ে ৩ জানুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে।

আরো পড়ুনঃ

প্রাথমিক শিক্ষার নতুন আইনে যে বিষয়টি যোগ করা হলো

ইসলাম ডেস্কঃ প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা আইন-২০২১ খসড়া চূড়ান্ত করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট ৩৬ নাগরিক। তারা বোর্ড গঠনের লক্ষ্যে এ আইনের প্রস্তাব কতটা বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিশিষ্টজনেরা। এতে গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী স্বাক্ষর করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২১ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রণীত জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) রাখা হয়নি- এটি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ নাগরিক সমাজের একটি অন্যতম প্রত্যাশিত বিষয় ছিল। এমনকি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এ পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষাকে পাবলিক পরীক্ষা হিসেবে ধরা হয়নি। এর পরিবর্তে বলা হয়েছে, স্থানীয়ভাবে উপজেলা, পৌরসভা বা থানা পর্যায়ে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিশিষ্ট নাগরিকেরা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনাকে আমলে না নিয়ে এবং জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-কে পাশ কাটিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২১’ নামক একটি আইনের খসড়া তৈরি করে তার ওপর মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। ‘শিক্ষানীতি ২০১০’ ও ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১’-এর নীতি ও অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২১ প্রণয়নের উদ্যোগ কেন নেওয়া হলো, তা আমাদের বোধগম্য নয়। যেখানে করোনার কারণে গত শিক্ষা বছরে একটিও পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি, এমনকি এ বছরও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, সেখানে এই বোর্ড গঠনের প্রস্তাব কতটুকু যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত তা প্রশ্নসাপেক্ষ।

তারা বলেন, প্রস্তাবিত ‘প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২১’ আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাঁধে বইয়ের বোঝা বাড়াবে এবং করোনার মতো মহাবিপর্যয়ের পর অভিভাবকদের কোচিং ও গাইড বইয়ের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় বাড়াবে। আমরা মন্ত্রণালয়কে এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এছাড়াও বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আছেন-অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, সেলিনা হোসেন, রামেন্দু মজুমদার, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও অধ্যাপক এম এম আকাশ প্রমুখ।

গত ৭ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২১ এর খসড়া প্রণয়নের বিষয়টি জানানো হয়।

আরও খবর

Sponsered content

ENGLISH